রোভার স্কাউট লিডার বেসিক কোর্সগোপালগঞ্জে কোর্স করলেন শাহিন সনদ পেল কামরুল!

প্রথম পাতা » ঢাকা » রোভার স্কাউট লিডার বেসিক কোর্সগোপালগঞ্জে কোর্স করলেন শাহিন সনদ পেল কামরুল!
বৃহস্পতিবার ● ১৪ এপ্রিল ২০২২


---

গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চল কর্তৃক  লিডার বেসিক কোর্সে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জ জেলা রোভার লিডার ও সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক গোলাম মোস্তাফার বিরুদ্ধে ।
২০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে গোপালগঞ্জ জেলা রোভার  সপ্তম ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিলে নিজের ভোট বৃদ্ধি করার জন্য এ জালিযাতির আশ্রয় নেন । বিগত ২৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চলের আয়োজনে  গোপালগঞ্জ জেলা রোভারের ব্যবস্থাপনায় গোপালগঞ্জ জেলা শিশু একাডেমিতে ৩৫২ তম রোভার স্কাউট ইউনিট লিডার বেসিক কোর্স অনুষ্ঠিত হয় । কোর্সটিতে প্রশিক্ষনের জন্য জেলার  বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানের ২৪ জন  শিক্ষক অংশ গ্রহন করেন ।  কোর্স শেষে তাদের সনদ প্রদান করে রোভার অঞ্চলের আঞ্চলিক উপ কমিশনার(প্রশিক্ষন) ও উক্ত কোর্সের কোর্স লিডার সিকদার রুহুল আমিন ( এলটি) ।
জানাযায়, ওই কোর্সে অংশগ্রহনকারিদের  ২৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত জেলা শিশু একাডেমিতে অবস্থান করে কোর্সটি শেষ করতে হয়েছে । ওই কোর্সে কোটালিপাড়া উমাচরন সার্বজনিন উচ্চ বিদ্যালয়ের গনিতের শিক্ষক কামরুল ইসলাম ও সদর উপজেলার ডা. দেলোয়ার হোসাইন মেমোরিয়াল কলেজের ক্রিড়া শিক্ষক হাফিজুর রহমান নামে সনদ দেওয়া হয় । অথচ ওই দুই জন শিক্ষক কোর্সে না এসেই তাদের নামে সনদ পেয়েছেন ।
পরর্বর্তিতে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, গোপালগঞ্জ জেলা রোভার লিডার ও সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক গোলাম মোস্তাফা সহকারি লিডার প্রশিক্ষক (এএলটি ) টাকার বিনিময়ে  ওই দুই শিক্ষকের নাম দিয়ে শাহিন ফকির  ও খালিদ হোসেন নামের দুইজন যুবক দিয়ে  কোর্সটি সম্পন্œ করান । যা কোর্সে অন্য প্রশিক্ষকেরা বুজতে পারেনি ।
কোর্স শেষে ওই দুই যুবক (শাহিন ফকির  ও খালিদ হোসেন) আপেক্ষ করে বলেন,  কষ্ট করে কোর্স করলাম কিন্ত নিজের নামে সনদ পেলামনা ।
বিষয়টি জানতে শাহিন ফকিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গোলাম মোস্তফা স্যার আমাকে কোর্স করার জন্য বলেন । কোর্স ( নিবন্ধনের সময় )  চলাকালিন সময় সে আমাকে বলেন তোমার নামের পরিবর্তে কামরুল ইসলামের নাম ও ঠিকানা লিখে দিতে । আমি তাই করেছি , কারণ স্যার আমাকে একটা উপকার করেছিলো “ আমার এক বন্ধু ¯œতোকত্তর পরিক্ষার সময়  সে ভারতে চিকিৎসায় ছিলো, ওই পরিক্ষায়  সে অংশ গ্রহন করতে পারেনি কিন্ত গোলাম মোস্তফা স্যার তার স্থানে অন্য লোক দিয়ে পরিক্ষা দিয়ে তাকে পাশ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো। সে আমার পরিচিত অন্যদেরও এমন অনেক সাহায্য করেছে । সেজন্য তার প্রতি আমি দূর্বল ছিলাম।
এবিষয় জানতে কোটালিপাড়া উমাচরন সার্বজনিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলামের বলেন, আমি বিদ্যালয়ে চাকরি করি আমার পক্ষে পাঁচ দিন থেকে প্রশিক্ষন নেওয়া সম্ভব নয় । আমি গোলাম মোস্তফা স্যার আমাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম । আমার নামে কিভাবে সনদ ইস্যু হলো তা আমি জানিনা , এ সব কিছু গোলাম মোস্তফা স্যার জানে।
গত ১৩ এপ্রিল ২০২২ তারিখে বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চলের সাধারন সম্পাদক প্রফেসর একেএম সেলিশ চৌধুরী স্বারিত পত্রে গোপালগঞ্জ জেলা রোভার লিডার ও সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক গোলাম মোস্তাফার বিরুদ্ধে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেন । আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানের জন্য বলা হয়েছে ।
উল্লেখ, এই প্রশিক্ষনে যে সকল শিক্ষক অংশগ্রহন করেছেন সকল প্রশিক্ষনার্থী একটি দল পরিচালনা করতে পারবে এবং ২০ এপ্রিল কাউন্সিলে তারা ভোট প্রদান করতে পারবে । ওই কাউন্সিলে গোলাম মোস্তফা সাধারন সম্পাদক পদে লাড়াই করবেন বলে জানাযায় । গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে এর আগেও প্রশিক্ষরা অসাচারন , সনদ প্রদানে চাপ ও হুমকি, অশালীন ও শিষ্ঠাচার বর্হিভূত আচরনের জন্য একধিকবার রোভার অঞ্চলে অভিযোগ করেন ।
এ বিষয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি এবিষয়ে কিছুই জানিনা ।  পাঁচ দিন যাবত  প্রশিক্ষন  হলো তখন কেউ প্রশ্ন করেনি, এখন কেন এই প্রশ্ন উঠছে ? যারা প্রশিক্ষন দিয়েছে তারাই সনদ পেয়েছে । এখন আমার বিরুদ্ধে শুধু শুধু দোষারোপ করছে ।

এইচবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৭:০৩ ● ৩৫৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ