কাকড়াবুনিয়া লঞ্চটার্মিনালে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৮

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কাকড়াবুনিয়া লঞ্চটার্মিনালে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৮
বুধবার ● ৬ জানুয়ারী ২০২১


কাকড়াবুনিয়া লঞ্চ টার্মিনালে দু’পক্ষের সংঘর্ষ আহত-৮

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পায়রা নদীর কাকড়াবুনিয়া পল্টুনে তরঙ্গ-৭ লঞ্চ ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গির হোসেনের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত তিন জনকে আমতলী ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকালে।
জানাগেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আমতলীগামী তরঙ্গ লঞ্চে মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গির কবিরের স্ত্রী ও ছেলে চিকিৎসা শেষে ঢাকা থেকে বাড়ীতে ফিরছিল। বুধবার সকালে ওই স্ত্রী ও পুত্রকে লঞ্চ থেকে এগিয়ে নিতে চেয়ারম্যান পায়রা নদীর কাকড়াবুনিয়া পল্টুনে আসে। লঞ্চটি ঘাটে নোঙ্গর করা অবস্থায় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির হোসেন লঞ্চে উঠেন। কিছু বুঝে উঠার আগেই লঞ্চের নিরাপত্তা কর্মীরা চেয়ারম্যানকে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অন্তত আধা ঘন্টা উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে লঞ্চের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ছেলে চেয়ারম্যানের রাতুল ও তার ভায়রার ছেলে হাসানকে মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে এবং লঞ্চের নিরাপত্তা কর্মী মোঃ আল আমিনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা পরে লঞ্চটি আমতলী লঞ্চ ঘাটে এসে পৌছে।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, আমার অসুস্থ্য ছেলে ও স্ত্রীকে লঞ্চ থেকে এগিয়ে আনতে পল্টুনে যাই। আমি লঞ্চে উঠতেই লঞ্চের নিরাপত্তা কর্মীরা আমাকে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় লঞ্চের ষ্টাফরা আমাকে ও আমার ছেলেসহ আমার লোকজনের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে আমার ৫জন লোক আহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গুরুতর আহত রাতুল ও হাসানকে মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
লঞ্চের সুপার ভাইজার মোঃ হুমায়ূন কবির বলেন, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির হোসেনের লোকজন লঞ্চের নিরাপত্তা কর্মী ও ষ্টাফদের উপর হামলা করেছে। এতে আমার লঞ্চের তিন জন আহত হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৯:২৯ ● ৪৫১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ