আবাসন খাতে নিবন্ধন ফিসহ অন্যসব বাধা দূরে সরকারের নানা উদ্যোগ

প্রথম পাতা » জাতীয় » আবাসন খাতে নিবন্ধন ফিসহ অন্যসব বাধা দূরে সরকারের নানা উদ্যোগ
বুধবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


আবাসন খাতে নিবন্ধন ফিসহ অন্যসব বাধা দূরে সরকারের নানা উদ্যোগ

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

নিবন্ধন ফিসহ অন্যসব বাধা দূর করতে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ফি এক অংকে নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে আবাসন খাতের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি। অর্থমন্ত্রণালয়ে ফি কমানোর সুপারিশ ইতিমধ্যেই জমা দেয়া হবে। রাজস্ব বোর্ড, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে গঠিত আবাসন খাতের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির সুপারিশে নিবন্ধন ফি কমানোর পাশাপাশি সম্পদ কর হ্রাস, কর অবকাশ সুবিধাসহ মোট ১২টি প্রস্তাব রয়েছে। এদিকে মেলায় অংশ নেওয়া একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন ক্রেতাকে একটি ফ্ল্যাট কিনলেই হয় না। ফ্ল্যাটের দাম যদি এক কোটি টাকা হয়; তাহলে তাকে প্রায় ১৬ লাখ টাকা নিবন্ধন ফি দিতে হয়। যা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। একটি ফ্ল্যাট কিনলেই শুধু হয় না। মালিকানা বুঝে পেতে করতে হয় নিবন্ধন। গুণতে হয় ৪ শতাংশ গেইন ট্যাক্স, ৩ শতাংশ স্ট্যাম্প ফি, ২ শতাংশ নিবন্ধন ফি, ২ শতাংশ স্থানীয় সরকার কর ও ৩ শতাংশ ভ্যাট। অর্থাৎ মূল টাকার সাথে গুণতে হয় বাড়তি ১৫ শতাংশ অর্থ। যা প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
এনা প্রপার্টিজ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ এম হোসেন আলী ব্যবস্থাপক জানান, ‘একটি ফ্ল্যাটের দাম যদি এক কোটি টাকা হয়, সেখানে ১৬ লাখ টাকা নিবন্ধন ফি দিতে হচ্ছে। এখন এক কোটি টাকার ফ্ল্যাটে যদি দশ হাজার টাকা করে স্কোয়ার ফিট হয়, তাহলে এক স্কোয়ার ফিটের জন্য যে মূল্য, সেক্ষেত্রে ১৬০ স্কোয়ার ফিটের টাকা আমার নিবন্ধন ফিতে চলে যাচ্ছে। তাই এটা একটা বড় প্রভাব ফেলছে আমাদের রিয়েল এস্টেট সেক্টরে।’
শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেট বিক্রয় ও উন্নয়ন বিভাগ সহকারি ব্যবস্থাপক আবু আহমেদ শামসুল আরেফিন জানান, ‘মধ্যবিত্ত সমাজের যারা আছেন বা যারা লোন করে কিনছেন, তাদের জন্য অতিরিক্ত ১০ থেকে ১৬ লাখ টাকা একটা বড় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এই কারণে আমাদেরও একটা দাবি যাতে সরকার এদিকে নজর দেন এবং খরচটা যেনো একটু কম হয়।’
উদ্যোক্তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে, এরইমধ্যে দীর্ঘদিনের দাবিতে সম্মত হয়েছে যৌথ ওয়ার্কি কমিটি। প্রথম বৈঠকে নিবন্ধন ফি কমানো, সম্পদ কর হ্রাস,কর অবকাশ সুবিধা, এক অঙ্কের সুদে গৃহঋণের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার পুন: অর্থায়ন তহবিল গঠনসহ ১২টি প্রস্তাব দেয়া হয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। পরবর্তী দুটি বৈঠকে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সব দাবি মেনে নেয় কমিটি।
রিহ্যাব সহ সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘যৌথ ওয়ার্কি কমিটির আমি অন্যতম সদস্য। এই কমিটির ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যে সুপারিশ যাচ্ছে এবং সে সুপারিশে আমরা দাবি করেছি যে আমাদের ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ নিবন্ধন ফি যার ফলে নিবন্ধন একদম কমে গেছে। আমরা এটাকে উপমহাদেশে যে হার ৫ থেকে ৬ শতাংশ সেটাতে নিয়ে আসার জন্য বলেছি। আমরা সেকেন্ডারি মার্কেটের কথা বলেছি। ব্যাংকগুলোকে যদি সুদের হার কমাতে বলে সেক্ষেত্রে ব্যাংকতো পারবে না। কারণ ব্যাংকতো তার নিজস্ব তহবিল দিয়ে করবে না।’ বর্তমানে দেশে আবাসন খাতে কাজ করছে ১ হাজার ১৫টি প্রতিষ্ঠান।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১০:১৪:৫১ ● ৫৮৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ