চরফ্যাশনে জাল সনদের সেই প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » চরফ্যাশনে জাল সনদের সেই প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
বুধবার ● ৭ অক্টোবর ২০২০


চরফ্যাশনে জাল সনদের সেই প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

চরফ্যাশনে মাদ্রাসার আলিম সনদ জাল-জালিয়াতি ও বিতর্কিত সেই  স্কুল শিক্ষক মোঃ গোলাম হোসেন সেন্টুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে চরফ্যাশন উপজেলা শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার চৌধুরী এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
৬ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষার বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ফারুক ১২১০/৫ নং স্মারকে দক্ষিন চরমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম হোসেন সেন্টুকে দুর্ণীতি  ও অসদাচরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা ২০১৮ এর ৪ (৩) উপ-বিধি- (১) (ঘ) মোতাবেক ৪-১০-২০২০ তারিখ হতে চাকুরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে বিতর্কিত স্কুল শিক্ষক মধ্য পূর্ব হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এটিএম মাহবুর রহমান ওরফে মোহাম্মদ ফারুককে মামলার তথ্য গোপন রাখার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানাযায়, দক্ষিন চরমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম হোসেন সেন্টু উত্তর চাচড়া মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসার ১৯৯১ সালের আলিম পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেট সৃষ্টি করে ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ সালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করেন । অথচ ওই মাদ্রাসা থেকে ১৯৯১ সালে মো: গোলাম হোসেন নামে কোন ছাত্র আলিম পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ কওে নাই। এই কারণে গোলাম হোসেনের গেজেট বাতিলসহ এযাবৎ উত্তোলিত টাকা আদায়ের ব্যবস্থা ও জাল-জালিয়াতির সু বিচার চেয়ে ২৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন করেন দক্ষিণ মঙ্গল গ্রামের শাহেদ আলী।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার উক্ত অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে  ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে ২২৯৪/৩ স্বারকে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করেন। পুনরায় ১৯ আগষ্ট ১৯ তারিখে  ১৬৪৪ স্বারকে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করেন। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা, বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ফারুক সরকারি কর্মচারী ( শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৪ (৩) ধারা মোতাবেক গোলাম হোসেন সেন্টুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করেন।  বিভাগীয় উপ-পরিচালক ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে ১১৩৩ স্বারকে অভিযোগ গঠন ও ১ম কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন।  অদৃশ্য কারণে এক বছর মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকে। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০ তারিখের ১১৬৯ স্মারকের আলোকে ওই মামলার ৪ঠা অক্টোবর রোববার প্রাথমিক শিক্ষার বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ফারুক এর কার্যালয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির সময়ে অসুস্থ দেখিয়ে অনুপস্থিত থাকেন সেন্টু। ৬ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষার বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ফারুক ১২১০/৫ নং স্মারকের আদেশে তাকে দূর্ণীতি  ও অসদাচরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা ২০১৮ এর ৪ (৩) উপ-বিধি- (১) (ঘ) মোতাবেক ৪-১০-২০২০ তারিখ থেকে চাকুরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৪:১২ ● ৭১২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ