মহিপুরে উচ্ছেদ অভিযানের পরেও দৃশ্যমান দু’টি অবৈধ স্থাপনা!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » মহিপুরে উচ্ছেদ অভিযানের পরেও দৃশ্যমান দু’টি অবৈধ স্থাপনা!
বৃহস্পতিবার ● ৪ জুন ২০২০


মহিপুরে উচ্ছেদ অভিযানের পরেও দৃশ্যমান দু’টি অবৈধ স্থাপনা!

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরের শিববাড়িয়া নদী তীরবর্তী এলাকার সরকারী জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত চারটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। এসময় তিন জনকে সরকারী জমিতে অবৈধ স্থাপনা উত্তোলনের দায়ে ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত। দন্ডপ্রাপ্তরা হল মো. মালেক সিকদার, মো. আলামিন ও আবদুল লতিফ । কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জগৎবন্ধু মন্ডল এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের প্রস্থানের পর ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জসিম আকন ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ফজলু’র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কিংবা অপসারন করা হয়নি। সরকারী জমিতে এ দু’টি অবৈধ স্থাপনা এখনও দৃশ্যমান হওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান নিয়ে মৎস্যবন্দরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এ নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বললেন সরকারী জমিতে গড়ে তোলা সকল স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ দিয়ে তিনি মৎস্যবন্দরে মাস্ক পরিধান না করায় ৬জনকে ৩,৫০০ টাকা এবং স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার দায়ে দুই ব্যবসায়ীকে রোগ সংক্রমন প্রতিরোধ আইনে যথাক্রমে ৮০০০ ও ২০০০ টাকা জরিমানা করেন তিঁনি। তবে উচ্ছেদ অভিযান সম্পন্নের পরও দৃশ্যমান দু’টি স্থাপনা অপসারন না হওয়ার বিষয়ে তিঁনি সংশ্লিষ্ট তহশিলদারকে ফোন দিয়ে উচ্ছেদ করতে বলবেন। এমনকি প্রয়োজনে তিঁনি ফের কাল মহিপুর মৎস্যবন্দরে যাবেন।

এরআগে বুধবার কোন রকম অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ্য দিবালোকে বন্দরের সরকারী জমিতে অন্তত: ৮টি অবৈধ স্থাপনা নির্মানের হিড়িক চলে। স্থানীয় ভূমি অফিস ও মহিপুর প্রেসক্লাবের মাত্র কয়েক গজের মধ্যে একজন হেভিওয়েট নেতার নেপথ্য কানেকশনে এ ঘর উত্তোলনের কাজ চলায় স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে চলে নানা গুঞ্জন।

কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, ’মহিপুর মৎস্যবন্দরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উত্তোলনের দায়ে তিনজনকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।’

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরও বলেন,’সরকারী জমিতে অবৈধ স্থাপনা অপসারন না হওয়ার সুযোগ নেই। এখনই সংশ্লিষ্ট তহশিলদারকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানছি। প্রয়োজনে কাল মহিপুর মৎস্যবন্দরে যাবো।’

প্রসংগত, দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় মৎস্য বন্দর মহিপুর সংলগ্ন শিববাড়িয়া নদীটি ঝড় জ্বলোচ্ছাসে জেলেদের একমাত্র আশ্রয় স্থল। এটিকে জেলেদের জন্য পোতাশ্রয় নির্মানে সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এনিয়ে কয়েকদফা সমীক্ষা কার্যক্রম চালিয়েছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ। প্রভাবশালীদের দখল দূষনে শিববাড়িয়া নদী অস্তিত্ব সংকটে পড়ায় পরিবেশ বাদী সংগঠন বেলা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে। যার প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে নদীর দু’তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। উচ্চ আদালতে ওই রিট পিটিশন নিস্পত্তি না হওয়ায় নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্দোবস্ত দেয়া সকল চান্দিনা ভিটির নবায়ন কার্যক্রম স্থগিত করে ভূমি প্রশাসন। সেই একই নদী তীরে প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধ স্থাপনা উত্তোলনে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে নানা মুখরোচক গুঞ্জন।

জিপি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০০:১৪ ● ২৮২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ