প্লাস্টিকের চালের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: কৃষিমন্ত্রী

প্রথম পাতা » জাতীয় » প্লাস্টিকের চালের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: কৃষিমন্ত্রী
বুধবার ● ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


সচিবালয়ে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

গাইবান্ধায় প্লাস্টিকের চাল পাওয়ার যে খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেটি ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। খবর প্রকাশের দুদিনের মাথায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্লাস্টিকের চালের বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। আমি সেখানকার ডিসি, ডেপুটি ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা সেখানে গিয়েছেন, সেই চাল এনে রান্না করেছেন এবং মুড়ি বানিয়েছেন। কোনোক্রমে প্লাস্টিকের চাল বাস্তবসম্মত নয়।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি সেখানে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গাইবান্ধা শহর এলাকার বাসিন্দা রনি মিয়া নতুন বাজার থেকে চাল কিনে চুলায় রান্না বসানোর আগমুহূর্তে সেই চাল নিয়ে তাঁর সন্দেহ হয়। তাঁর ধারণা হয়, এগুলো ‘প্লাস্টিকের চাল’। পরে তিনি তা নিয়ে সদর থানায় হাজির হন। পরে পুলিশ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ব্যবসায়ী নোমান মিয়ার দোকান থেকে দেড় বস্তা ‘প্লাস্টিকসদৃশ’ চাল জব্দ করে। এবং দোকান সিলগালা করে দেয়। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকেই ‘প্লাস্টিকের চালের’ বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করা হয়। জেলা প্রশাসক বলেন, এটি হয়তো খুবই নিম্নমানের চাল। এর মধ্যে আজ কৃষিমন্ত্রী, যিনি নিজেও একজন কৃষিবিদ, বলেন, দেশে কৃষকরা চাল বিক্রি করতে পারছেন না। আমি টাঙ্গাইলে গিয়েছি, হাজার হাজার মানুষ বলেছে, আমরা শেষ হয়ে গেলাম। সেখানে প্লাস্টিকের চালের বিষয়টি অবাস্তব। গাইবান্ধা থেকে ঢাকায়ও পরীক্ষার জন্য চাল পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সেটি আমরা পরীক্ষা করে দেখব। কোনোক্রমেই প্লাস্টিকের চাল বিষয়টি সম্ভব নয়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ড. আবদুর রাজ্জাক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ খাদ্য দিবসে ঘোষণা করেছেন, ঢাকায় সেন্ট্রাল একটি ল্যাব করা হবে। যেখানে খাদ্যে ভেজাল, ওষুধে ভেজাল নির্ণয় করা যাবে। আধুনিক একটি ল্যাব করতে চাচ্ছেন তিনি। এজন্য আমাদের প্রশিক্ষিত জনশক্তি লাগবে। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা এখন সবাই স্কুলে যাচ্ছে। তারা এখন আর মাঠে কাজ করতে চাইবে না। এদের জন্য কাজের সংস্থান করতে হবে। তারুণ্যের শক্তিকে আমরা দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করব এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করব, সেটি আমরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে ধরেছি।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা বলেছি ইউএসএআইডির মাধ্যমে তাদের কাছে আমরা সহযোগিতা চাই। প্রযুক্তিগত ল্যাবরেটরি স্থাপন করাসহ বিভিন্ন সহযোগিতার কথা তাঁরা বলেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, আমরা অবশ্যই অতীতেও আপনাদের পাশে ছিলাম। কৃষিতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যেকোনো দেশের উন্নয়নের জন্য পলিটিক্যাল স্ট্যাবিলিটি দরকার। এবং সেটা অনেকটা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এখন যখন তখন আর হরতাল-অবরোধ হবে না। যা উন্নয়নের জন্য খুবই সহায়ক। মার্কিন রাষ্ট্রদূত একমত হয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পলিটিক্যাল স্ট্যাবল হয়েছে এবং বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে, যোগ করেন কৃষিমন্ত্রী।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:০০:৪৯ ● ৪১৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ