রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে দেশের ৪৪টি জেলা: রেলমন্ত্রী

প্রথম পাতা » জাতীয় » রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে দেশের ৪৪টি জেলা: রেলমন্ত্রী
সোমবার ● ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

 রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের ৪৪টি জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) সংসদে সরকারি দলের সদস্য আলী আজমের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, রেলওয়েতে যে সকল প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং অতি শিগগিরই যে সকল প্রকল্প গ্রহণ করা হবে সেগুলো বাস্তবায়িত হলে আরো ১৫টি জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। জেলাগুলো হলো-মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মেহেরপুর, মাগুরা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, বান্দরবান, কক্সবাজার, নড়াইল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, মানিকগঞ্জ, পিরোজপুর ও বরগুনা।
তিনি জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান মাস্টারপ্ল্যান সম্প্রতি হালনাগাদ করা হয়েছে। যার মেয়াদ ধরা হয়েছে ৩০ বছর (২০১৬-২০৪৫)। মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের পর লক্ষীপুর, শেরপুর, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি এই ৪টি জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। অবশিষ্ট ভোলা জেলাকেও রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর এ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৬১৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ৮১টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৬৪টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এডিপিতে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৪৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প এবং ৩টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প অর্থাৎ মোট ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ১১ হাজার ৩৩১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে মোট ৯টি রেল ইন্টারচেঞ্জ রুট চালু করা হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতের সঙ্গে রেলওয়ে সংযোগের জন্য ৭টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট আছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৪টি চালু রয়েছে। বাকি ৩টি ইন্টারচেঞ্জ চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরো দুটি নতুন ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট চালুর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব রেল সংযোগের মধ্যে রয়েছে, দর্শনা-ভারতের গেদে, বেনাপোল-পেট্রাপোল, রোহনপুর-সিঙ্গাবাদ, বিরল-রাধিকাপুর, শাহবাজপুর-মহিশাসন, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি, বুড়িমারী-চেংরাবান্ধা, আখাউড়া-আগরতলা এবং ফেনী থেকে ভারতের বিলোনিয়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ। আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, যানজট নিরসনে ঢাকা শহরের চারিদিকে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রস্তাব ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর পরিকল্পণা কমিশনে অনুমোদিত হয়েছে। এর পরামর্শক নিয়োগের জন্য দু’বার ইওআই আহ্বান করা হয়েছে। সমীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হবে।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৬:০৪ ● ৪১৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ