পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর বাউফলে তিন নারীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এর মধ্যে এক নারীর ডান পা ভেঙে গেছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই তিন নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে মো. নূরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সাতজনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বগা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের আবদুস ছত্তার হাওলাদারের সঙ্গে একই এলাকার ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার দুপুরে আবদুস ছত্তার হাওলাদারের রোপিত জমিতে মুগ ডাল তুলতে যান মিজানুর ও তাঁর লোকজন। এতে বাধা দেন আবদুস ছত্তারের স্ত্রী মোসা. রাশিদা বেগম (৫০)। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রাশিদা বেগমকে মিজানুর ও তাঁর লোকজন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে তাঁর ভাসুরের মেয়ে মোসা কুলসুম বেগম (৩২) ও ছেলের বউ মোসা. লাকি বেগম (২৫) ছুটে যায়। তখন ওই তিন নারীকেই টেনেহিঁচড়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
আহত লাকি বেগম অভিযোগ করেছেন, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান ও তাঁর লোকজন তাঁদেরকে পিটিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি। তাঁদের পরনের কাপড় ও সেলোয়ার কামিজ টেনে ছিড়ে ফেলেছে। বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে তাঁদেরকে একরকম বিবস্ত্র করে চুল ধরে মাটিতে ফেলে লাথি মেরেছে। এ ঘটনায় আহত লাকি বেগমের স্বামী মো. নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে মিজানুরকে প্রধান আসামি করে সোমবার বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. তানভীর আহম্মেদ সাগরকন্যাকে বলেন, ‘আহত তিন নারীর মধ্যে একজনের (লাকি) ডান পা ভেঙে গেছে। তিনজনই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।’ বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।