
রবিবার ● ২৮ জুলাই ২০১৯
আমতলীতে প্রতারণার অভিযোগে স্কুল ছাত্রী গ্রেফতার
হোম পেজ » বরগুনা » আমতলীতে প্রতারণার অভিযোগে স্কুল ছাত্রী গ্রেফতারআমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়–য়া শিশু রবিনকে অপহরণের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে আমতলী এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী সাজেদা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের লোদা এলাকায় রবিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে।
জানাগেছে, আমতলী পৌর শহরের লোদা এলাকার মিজানুর রহমান ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকার স্টার হোটেলে চাকুরী করেন। তার স্ত্রী রিনা বেগম ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে আমতলী পৌর শহরের গ্রামের বাড়ীতে বসবাস করছেন। বিগত বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত পরিচয়ে মুঠোফোনে নারী কন্ঠে মিজানুর রহমানের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। তার দাবীকৃত টাকা না পেলে মিজানুর রহমানের শিশু পুত্র আমতলী একে হাই সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র রবিনকে অপহরণ ও ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে স্ব-পরিবারে হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে মিজানুর রহমান ওইদিন রাতে ঢাকার নিউ মার্কেট থাকায় সাধারণ ডায়েরী করেন (যার নম্বর-১৫০২)।
রবিবার সকালে মিজানুর রহমান প্রতারকের দেয়া বিকাশ নম্বরে (০১৭৮৩৩১৮৮৮১) ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। ওই প্রতারক বিকাশ এজেন্ট মালিক আল আমিনের কাছে টাকা আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। কিন্তু বিকাশ এজেন্ট মালিক ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া টাকা দেয়া যাবে না বলে তাকে জানিয়ে দেয়। এদিকে মিজানুর রহমান টাকা পাঠিয়ে মহসীন নামের তার এক স্বজনকে ওই বিকাশ নম্বর এবং প্রতারকের মোবাইল নম্বর দিয়ে দেয়। মহসীন কৌশলে প্রতারকের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে প্রেমের অভিনয় করে প্রতারকের অবস্থান এবং বিকাশ এজেন্ট সম্পর্কে নিশ্চিত হন। মহাসীনের কথিতমতে ওইদিন দুপুর ২ টার দিকে থানা পুলিশ আমতলী এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতারককে সনাক্ত করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারক সাজেদা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন টয়লেটে ফেলে দেয়। এ সময় পুলিশ প্রতারক সাজেদাকে গ্রেফতার করেন এবং ওই মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। সাজেদা আকতার পৌর শহরের লোদা গ্রামের মোঃ শহীদুল ইসলামের কন্যা। এ ঘটনার পরপরই বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদ সভা ডেকে ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করেছেন।
মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। এ টাকা না দিলে আমার শিশুপত্র রবিনকে অপহরন করে নিয়ে যাবে এবং ঘরে আগুন দিয়ে স্ব-পরিবারে হত্যার হুমকি দেয়। আমি তার দাবীকৃত টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা বিকাশে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আমি ঢাকার নিউ মার্কেট থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি।
বিকাশ এজেন্ট মালিক আল আমিন বলেন, নারী কন্ঠে (০১৭৬৪৩৬৮৬১৯) মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে ১০ হাজার টাকা আসার বিষয়টি জানতে চায়। আমি তাকে ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া টাকা দেয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেই।
আমতলী থানায় গ্রেফতারকৃত স্কুল ছাত্রী সাজেদা আক্তার বিকাশে টাকা আনার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি কাউকে হুমকি দেইনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম কবির বলেন, ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রী বলেন, খবর পেয়ে প্রতারক সাজেদাকে বিদ্যালয় থেকে গ্রেফতার করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২০:০৭:১০ ● ৫২৬ বার পঠিত