বৃহস্পতিবার ● ২ মে ২০১৯

বানারীপাড়ায় ফেয়ার কার্ডের ২৩ বস্তা চাল আটক

হোম পেজ » বরিশাল » বানারীপাড়ায় ফেয়ার কার্ডের ২৩ বস্তা চাল আটক
বৃহস্পতিবার ● ২ মে ২০১৯


বানারীপাড়ায় ফেয়ার কার্ডের ২৩ বস্তা চাল আটক

বানারীপাড়া (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বানারীপাড়ায় সরকারী ভাবে বরাদ্ধকৃত ১০টাকা কেজি দরের ২৩ বস্তা চাল আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমী) বকুল চন্দ্র কবিরাজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নলশ্রী এলাকার শহিদ মোল্লার ঘর থেকে ওই চাল উদ্ধার করে সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে সিলগালা করে রেখেছেন। তবে ওই চাল কোন ডিলারের সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিৎ করে বলতে পারেননি উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন ১০টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করার জন্য পৌর শভা সহ ৮টি ইউনিয়নে দু’জন করে ডিলার নিয়োগ করেন। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ডিলাররা উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে তাদের বরাদ্ধকৃত চাল উত্তোলন করেন। তারা খোলা বাজারে ওই চাল বিক্রি করার সময় এক জন কার্ডধারীর কাছ থেকে প্রতি কেজি চালের দাম ১০ টাকা করে ৩০ কেজি চালের দাম ৩০০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও ডিলাররা সেখানে তাকে মাত্র ২৫ কেজি চাল বিতরণ করে ওই টাকা রেখে দেন। এক্ষেত্রে এক জন কার্ডধারী ৩০০ টাকা দিয়ে ডিলারের কাছ থেকে ৫ কেজি চাল কম পাওয়ার পাশাপাশি ৫০ টাকা হারে প্রতারিত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে প্রতারণার শিকার হওয়া একাধিক ব্যক্তি জানান, ডিলাররা কার্ডধারীদের ৩০ কেজির স্থলে ২৫ কেজি করে বিতরণ করেন এবং বাকী চাল খোলা বাজারে বিক্রি না করে অন্যত্র মজুদ রেখে কালো বাজারে বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের নাম গোপন রাখার সর্তে একাধিক ইউপি সদস্যরা জানান, উপজেলা প্রশাসন ওই ইউনিয়নে দু’জন ডিলার নিয়োগ করেছেন। ওই ডিলারদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করা নলশ্রী এলাকার কমদ আলী হিয়ালীর ছেলে মনির হোসেন হিয়ালী ও তার জামাতা আদম আলী বুধবার রাতে পাশর্^বর্তী শহিদ মোল্লার বাড়িতে ওই চাল মজুদ রাখেন। ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের ধারণা ওই এলাকার ডিলার ১০ টাকা কেজি দরের চাল খোলা বাজারে বিক্রি না করে কালো বাজারে বিক্রি করার জন্যই ওই চাল সেখানে রেখেছেন। তবে বাড়ির মালিক পলাতক থাকায় কোন ডিলারের চাল সে বিষয়টি এখনই নিশ্চিৎ করে বলতে পারেননি উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান, সৈয়দকাঠী ইউনিয়নে দু’জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে চাল উদ্ধার হওয়া নলশ্রী এলাকা সহ ৫টি ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টু ও জিরাকাঠী সহ অপর ৪টি ওয়ার্ডে মিঠু ঘরামীর দায়ীত্ব পালন করার কথা। তার ধারণা আটকৃত চাল ওই দু’জনের মধ্যে যে কোন এক জন ডিলালের হতে পারে। এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও ইউএনও জানান।

জিএমআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:১৭:২৬ ● ৬৭০ বার পঠিত