বুধবার ● ১৯ নভেম্বর ২০২৫

দুমকিতে পদ্মা ব্যাংকে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে

হোম পেজ » পটুয়াখালী » দুমকিতে পদ্মা ব্যাংকে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে
বুধবার ● ১৯ নভেম্বর ২০২৫


দুমকিতে পদ্মা ব্যাংকে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে!

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, দুমকি (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পদ্মা ব্যাংক শাখায় জমাকৃত টাকা উত্তোলন করতে না পেরে কয়েক হাজার গ্রাহক মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন। প্রতিদিন গ্রাহকেরা টাকা তুলতে এসে হতাশ হয়ে ফিরছেন। জরুরি প্রয়োজনে অর্থ না পাওয়ায় অনেকে বিপাকে পড়েছেন। জমাকৃত অর্থ ফেরত না পাওয়ার শঙ্কায় গ্রাহকদের ভিড়ও প্রতিদিন বাড়ছে। দ্রুত লেনদেন স্বাভাবিক না হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

জানা যায়, উপজেলা সদরের সরকারি জনতা কলেজের কাছে অবস্থিত পদ্মা ব্যাংক দুমকি শাখায় প্রায় চার হাজার গ্রাহক দীর্ঘদিন ধরে লেনদেন করে আসছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ব্যাংকটি দেশের অন্যান্য দুর্বল ব্যাংকের মতো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। নতুন করে টাকা জমা গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে পুরোনো জমা ফেরত দিতেও পারছে না ব্যাংক, ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সার্জেন্ট (অব.) এসএম ফজলুল হক জানান, তার পরিবারের চারজনের নামে মোট ২৩ লাখ টাকা জমা রয়েছে। চেক দিলেও ২ হাজার টাকার বেশি দিচ্ছে না ব্যাংক, তাও আবার সপ্তাহ ধরে দৌড়াতে হচ্ছে। রাইসমিল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা হাওলাদার জমি বিক্রির ৯ লাখ টাকা জমা রেখেছিলেন। মাসে মাত্র ২ হাজার টাকা দিয়ে ঘুরিয়ে দিচ্ছে ব্যাংক। বাহেরচরের জসিম উদ্দিন বলেন, চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা জমা রেখেছিলাম। তুলতে চাইলেও ব্যাংক বলছে-টাকা দেওয়া সম্ভব না।

লেবুখালির গ্রাহক রিপন বলেন, দেড় হাজার টাকা খরচ করে ১০ মাস ঘুরে মোটে ২ হাজার টাকা তুলতে পেরেছি। শ্রীরামপুরের মফিজ গাজী জানান, দুই প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্য জমা রাখা টাকা তোলা যাচ্ছে না। পিরতলা বাজারের আবুল বাশার, হোচেন আলী, মোশারফ হোসেনসহ আরও বহু গ্রাহক একই অভিযোগ করেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা শুধু বলছেন-টাকা নেই, টাকা এলে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে মতামত জানতে দুমকি শাখার ব্যবস্থাপক শাহিনুর আক্তার ও ব্যাংকের পাবলিক রিলেশন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৮:৫৭ ● ৫০ বার পঠিত