রবিবার ● ১৬ নভেম্বর ২০২৫
বরগুনায় স্বামীর বিরুদ্ধে তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ!
হোম পেজ » বরগুনা » বরগুনায় স্বামীর বিরুদ্ধে তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ!
সাগরকন্যা প্রতিবেদন, বরগুনা
নয় বছর সংসার করার পরে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে গোপন রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা হয়েছে সাবেক স্বামী তরিকুল ইসলাম নিপুর বিরুদ্ধে। তালাক দেওয়া স্ত্রী বাদি হয়ে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে রবিবার মামলাটি করেন। ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আসামী তরিকুল ইসলাম নিপু বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আবদুল লতিফ হাওলাদারের ছেলে। অপর আসামী নিপুর মা কহিনুর বেগম। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।
জানা যায়, বাদির বাবার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। ২০১৭ সালে নিপুর সঙ্গে বাদির বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। এরপর থেকে তাদের মধ্যে কলহ লেগে থাকে। আসামী নিপু তার স্ত্রীকে চলতি বছরের
৩০ অক্টোবর তালাক দিয়ে গোপন রাখেন। কিছুদিন পর নিপু তালাকের নোটিশ তার শশুর মো: দেলোয়ার হোসেনের নিকট পাঠিয়ে দেয়।
বাদি বলেন, নিপু আমাকে তালাক দিয়ে কিছু দিন গোপন রাখে। পরে আমার বাবার ঠিকানায় তালাকের নোটিশ পাঠিয়ে দেয়। আমার বাবা ১৪ নভেম্বর আমাকে ফোন দিয়ে তালাকের বিষয়টি জানান। এই সময় আমি নিপুর সংসারে স্ত্রী হিসাবে নিপুর সঙ্গে একই বিছানে থাকি। নিপু জানেন আমি তার স্ত্রী নই। আমি জানি নিপু আমার স্বামী।
নিপু আমাকে তার বাড়িতে রেখে ৩০ অক্টোবর হতে ১৩ নভেম্বর রাত পর্যন্ত আমার সঙ্গে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক করেন। যা ধর্ষণের অপরাধ। ১৪ নভেম্বর আমি নিপুর কাছে তালাকের বিষয়টি জানতে চাই। নিপু তালাকের কথা স্বীকার করেন। নিপুর মা বলেন, তোমাকে নিপু অনেকদিন আগে তালাক দিয়েছে। আমাদের বাড়ি তোমার থাকা উচিৎ নয়। নিপুর মা নিপুকে তালাক দিতে সহায়তা করেছে। এছাড়্ ানিপু পরকীয়ায় জড়িত। আমি তাকে বাধা দিতাম। এ কারনে আমাকে তালাক দিতে পারে।
এদিকে, এসব নিয়ে কথা বলতে চাইলে নিপুর ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এমএইচকে/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৮:৫১ ● ৪৯ বার পঠিত
