রবিবার ● ৯ নভেম্বর ২০২৫
দুই পুত্রই এখন মরার ওপর খরার ঘা! ভাঙা ঘরে মানবেতর জীবন অসহায় মনোয়ারার
হোম পেজ » ফিচার » দুই পুত্রই এখন মরার ওপর খরার ঘা! ভাঙা ঘরে মানবেতর জীবন অসহায় মনোয়ারার
উত্তম গোলদার, সাগরকন্যা প্রতিবেদক, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামের বেতাগী-সুবিদখালী-পটুয়াখালী সড়কের পাশে ভাঙা টিনের একটি ঘরে বসবাস করছেন অসহায় বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম। মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে ও আহত আরেক পুত্রসহ তিন কন্যা নিয়ে মানবেতর জীবন কাটছে তাঁর।
২০ বছর আগে স্বামী ওয়াজেদ শরীফ মারা যাওয়ার পর থেকেই মনোয়ারা বেগম একাই সংসার সামলাচ্ছেন। একসময় শ্রমিকের কাজ করা ছোট ছেলে মহিদুল শরীফের পায়ের রগ কেটে যায় কোন এক দুর্ঘটনায়। ভুল চিকিৎসায় এখন তার কর্মক্ষমতাও নেই। ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন এক লাখ টাকা। অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না।
মনোয়ারা বেগম সাগরকন্যার এই প্রতিবেদককে জানান, স্বামীকে হারিয়ে পাঁচ সন্তান নিয়ে সেই থেকে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। সহায়-সম্বল বলতে স্বামীর রেখে যাওয়া ভিটেটুকুই আছে। বড় ছেলে বাদশা শরীফ মানসিক ভারসাম্যহীন। ছোট ছেলে অসুস্থ হয়ে এখন কর্মক্ষমতা হারিয়েছে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে, তারাও নানা টানাপোড়নের মধ্যে সংসার চালায়। নিজেও ভুগছেন নানা রোগে। বয়সের কারণে অন্যের কাজে শ্রম দেওয়া এখন প্রায় অসম্ভব। বয়স্ক ভাতার কার্ড থাকলেও নিয়মিত ভাতা না পাওয়ারও আক্ষেপ ছিল তার।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টিতে ঘরের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে। শীতে ঠান্ডা বাতাসে ঘর ভরে যায়। গ্রীষ্মে ঘরটা গরম হয়ে ওঠে সূর্যের তাপে। তবুও এই ঝুপড়িই তাঁদের একমাত্র আশ্রয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ফিরোজ আলম সাগরকন্যাকে বলেন, মনোয়ারা বেগমের পরিবারটি খুবই অসহায়। তাঁদের সহায়তা করা দরকার।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, অসুস্থ মহিদুলের চিকিৎসার জন্য সমাজসেবা অফিস থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে। মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করলে তাঁদের ঘর মেরামত ও বসবাসের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:১৪:১৯ ● ৮৬ বার পঠিত
