বৃহস্পতিবার ● ১৪ আগস্ট ২০২৫

গৌরনদীতে মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ

হোম পেজ » বরিশাল » গৌরনদীতে মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ
বৃহস্পতিবার ● ১৪ আগস্ট ২০২৫


গৌরনদীতে মাদ্রাসা ভবনের নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, গৌরনদী (বরিশাল) 

 

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার গরঙ্গল দাখিল মাদ্রাসার চারতলা ভবনের নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে । এ ব্যাপারে স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গৌরনদীর ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জানা গেছে, শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৩কোটি ২৬লাখ টাকা ব্যয়ে গৌরনদী উপজেলার গরঙ্গল দাখিল মাদ্রাসার চারতলা ভবনের নির্মাণ কাজ পান মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ পেয়ে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১৮সালে মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নির্মাণ কাজের মেয়াদোত্তীর্ণ হলে একাধিকবার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজা হাসান রাহাত ও গৌরনদী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. তারেক আহসানসহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ওই মাদ্রাসার চারতলা ভবনের ছাদ ও দেয়াল নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হলেও প্লাস্টার কাজ বাকি রয়েছে। নির্মাণাধীন ভবনের রেলিংয়ে ৪টি করে ১০ মিলি রড দেয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাত্র ২টি করে রড দিয়ে রেলিং নির্মাণ করেছে। ভবনের ৪টি ছাদে ও নিচতলার ফ্লোরে সিডিউলের চেয়ে বেশি ফাঁক দিয়ে রড ব্যবহার করা হয়েছে। অনিয়ম ও কারচুপি ধামাচাপা দিতে জেলা শিক্ষা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এস.ও) ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিসহ নির্মাণ কাজ তদারকি করার কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অধিকাংশ ঢালাই’র কাজ রাতের আঁধারে করার অভিযোগ রয়েছে। কাজের সিডিউল অমান্য করে ২/৩ গুণের বেশী ফাঁক রেখে রড বেঁধে ভবনের নিচতলার ফ্লোর ঢালাই দেওয়ার অভিযোগও করেছেন স্থানীয়রা। অনিয়ম ও কারচুপি করার ফলে ২/১ বছর পর ভবনের যে কোন স্থানে ফাটল ধরার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে আমরাসহ স্থানীয় ২৫/৩০ব্যক্তি সম্প্রতি গৌরনদীর ইউএনও’র কাছে একটি লিখিত অভিযোগ  দিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরী বলেন, আমি ও জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনতলার রেলিং ও নিচতলার ফ্লোরের একাংশ ভেঙ্গে অনিয়ম ও কারচুপির করার সত্যতা দেখতে পাই। অনিয়মের স্থান ভেঙে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

জেলা সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী মো. আক্তারুজ্জামান বলেন “আমাদের না জানিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকেরা সিডিউল অমান্য করে তিনতলার রেলিংয়ে ২টি করে রড ও ফ্লোরে রড বেশী ফাঁক (গ্যাব) দিয়ে ঢালাই দিয়েছে। যা ভেঙে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে নির্মাণ কাজ করতে বলা হয়েছে।

ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মেহেদী হাসান বলেন, নির্মাণাধীন মাদ্রাসার নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।  কতিপয় নির্মাণ শ্রমিক কিছু টাকা পাবে বলে তারা  অপপ্রচার চালাচ্ছে।

 

এএসআর/এমআর

 

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৯:৩৯ ● ৮৬ বার পঠিত