
মঙ্গলবার ● ৫ আগস্ট ২০২৫
নিজ দলের নেতাদের আসামি, তালতলীতে বিএনপির বিক্ষোভ
হোম পেজ » বরগুনা » নিজ দলের নেতাদের আসামি, তালতলীতে বিএনপির বিক্ষোভসাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বিএনপির অন্তত ১৫-২০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করার অভিযোগে তালতলীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। মামলার বাদী তালতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ছগির হাওলাদারের বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি জানান তারা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে তালতলী উপজেলা শহরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন।
জানা গেছে, ২০২২ সালের বিএনপির এক কর্মসূচিতে তালতলীতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলা, অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে চলতি বছরের ৩০ জুলাই আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন মো. ছগির হাওলাদার।
মামলায় তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান তনু এবং আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মতিয়ার রহমানসহ ১০১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
তবে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ- ব্যক্তিগত স্বার্থে বাদী ছগির হাওলাদার অন্তত ১৫-২০ জন বিএনপি নেতাকর্মী, রাখাইন সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষ এবং জমি বিরোধের পক্ষদেরও মামলায় জড়িয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মামলায় শারিকখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মো. নিজাম আকন (৪৪ নম্বর আসামি), যুবদল নেতা বেল্লাল আকন (৩৬ নম্বর), বড়বগী ইউনিয়নের যুবদল নেতা হাবিব (৭২ নম্বর), শ্রমিক দল নেতা হারুন চৌকিদারসহ আরও কয়েকজন বিএনপি নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
রাখাইন সম্প্রদায়ের মংনানসে, মংনান্ট ও থুইমং সুঁই তালুকদারকেও মামলায় যুক্ত করা হয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম লিটন মোল্লা বলেন, “বাদী ছগির হাওলাদার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বাদ দিয়ে আমাদের দলের সক্রিয় নেতাদের আসামি করেছেন, যা জঘন্য কাজ।”
বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, ঘটনার দিন বাদী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। নিজের স্বার্থে বিএনপিকেই আঘাত করেছেন।
রাখাইন সম্প্রদায়ের মংনানসে ও মংনান্ট বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই। বাদী জমি দখলের জন্য আমাদের আসামি করেছেন। জমি নিয়ে আদালতে তিনটি মামলা চলমান রয়েছে।
নিজাম আকন বলেন, বাদী এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। না দেওয়ায় আমাকে ও আমার ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
অন্যদিকে, মামলার বাদী মো. ছগির হাওলাদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছি। বিএনপির কাউকে উদ্দেশ্য করে আসামি করিনি। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে বিক্ষোভ করা হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. ইকরাম হোসেন বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী তদন্ত চলছে। যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হবে, তাদের চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৫:১১ ● ৮৮ বার পঠিত