শুক্রবার ● ২৭ জুন ২০২৫

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশায় লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ

হোম পেজ » বরগুনা » আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশায় লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ
শুক্রবার ● ২৭ জুন ২০২৫


আমতলী-তালতলী সড়কে যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি!

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার উপকূলীয় আমতলী ও তালতলী উপজেলার একমাত্র আঞ্চলিক সড়কটি বেহাল দশায় পড়েছে। ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের অন্তত ২৪ কিলোমিটার এলাকায় হাজার হাজার ঢোবা ও খানাখন্দের কারণে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এতে দুই উপজেলার অন্তত লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়ছেন।

আমতলী থেকে তালতলীর ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত চলমান এই সড়কটি দুটি উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র প্রধান রাস্তা। এছাড়া সোনাকাটা ইকোপার্ক ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এটি।

স্থানীয়রা জানান, সড়কের মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার, কড়াইবাড়িয়া বাজার থেকে হরিণবাড়িয়া সেতু পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এবং তালতলী সেতু থেকে ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তা ঢোবা ও খানাখন্দে ভরপুর। প্রতি ২০ থেকে ৩০ গজ অন্তর বড় বড় গর্তের কারণে গাড়ি চলাচল দুরূহ। গাড়ির চাকা গর্তে আটকে যান চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন তৈরি হচ্ছে।

তালতলী উপজেলার ব্যবসায়ী মো. শামিম পাটোয়ারী বলেন, “আমাদের সড়ক এতটাই খারাপ যে চলাচল একেবারেই কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার যদি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়, তা ছাড়া চলাফেরা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।”

তারিকাটা এলাকার শহীদুল ইসলাম ও বাহাদার জানান, “গত এক বছর ধরে সড়ক এমনই ভেঙে খাকন্দে পরিণত হয়েছে, কিন্তু স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কোনো উদ্যোগ নেই।”

আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারের ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির বলেন, “দুই বছর আগে নির্মিত এই সড়কটি এত দ্রুত নষ্ট হবে তা কেউ ভাবেনি। এখন চলাচলে বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে।”

মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম, রুবেল মিয়া ও শাহ আলম তালুকদার জানান, “সড়কের এই খারাপ অবস্থা গাড়ি চালানোকে প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে। অনেক সময় জীবন ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়।”

বাস চালক মজিবুর রহমান বলেন, “সড়কের অবস্থার কারণে গাড়ির যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।”

তালতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “কড়াইবাড়িয়া থেকে হরিণবাড়িয়া পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। আগামী অর্থবছরের প্রথম ধাপে ওই অংশ সংস্কার করা হবে। পরে তালতলী থেকে ফকিরহাট পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করা হবে।”

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী জানান, “মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা পর্যন্ত সড়ক খানাখন্দে ভরপুর। আগামী বাজেটে সংস্কারের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।”

 

বরগুনা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, “পুরো ২৪ কিলোমিটার একসঙ্গে সংস্কার সম্ভব নয়। তবে পর্যায়ক্রমে অর্থবছরে সংস্কার করা হবে।”

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩৮:৫৮ ● ৭৯ বার পঠিত