
শুক্রবার ● ২৭ জুন ২০২৫
তিন বছরেও নেই অগ্রগতি এলাকাবাসী খুঁজছে আয়রণ ব্রীজ নির্মাণ কাজের ঠিকাদারকে!
হোম পেজ » কুয়াকাটা » তিন বছরেও নেই অগ্রগতি এলাকাবাসী খুঁজছে আয়রণ ব্রীজ নির্মাণ কাজের ঠিকাদারকে!
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের বড়হরপাড়া খালের ওপর আয়রণ ব্রিজের পুননির্মাণ কাজ গত তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ বন্ধ থাকায় ব্রিজটি ঝুলে রয়েছে, নেই ঠিকাদারের কোনো খোঁজ। ফলে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
স্থানীয়রা বিকল্প হিসেবে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কোনোমতে চলাচল চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে কোমলমতি শিশুদের জন্য এই সাঁকো পারাপার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের অন্তত ২৫ জন শিশু শিক্ষার্থীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
সাঁকো পার হতে গিয়ে সম্প্রতি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিনা পা পিছলে পড়ে গুরুতর জখম হয়। তাকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাণে রক্ষা পায়।
তিন বছর আগে শুরু হওয়া ব্রিজটির নির্মাণকাজ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), কলাপাড়া বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকলেও এ নিয়ে তাদেও কোন মাথা ব্যাথা নেই। সুফি মোতাহার উদ্দিন বাড়ি সংলগ্ন এই ব্রিজের কাজের অগ্রগতি নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে হতাশা ও নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
পৌরগোঁজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আজিজ বলেন, “প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিশুদের অনেকেই স্কুলে আসতে পারছে না। আশপাশের গ্রাম থেকেও শিক্ষার্থীদের জন্য এই সাঁকো বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
প্রধান শিক্ষক আবু জাফর মো. সালেহ বলেন, “আগের ব্রিজটি মোটামুটি অবস্থায় ছিল। হঠাৎ ভেঙে ফেলে নতুন করার উদ্যোগ নেয়া হলেও তিন বছরেও কাজের অগ্রগতি নেই। ঠিকাদারকে বারবার বলা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।”
৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানার ভাষ্য, “আমাগো এই চার (সাঁকো) পার হইয়া যাওয়া-আওয়া করা খুব কষ্টের।” একই মন্তব্য তার সহপাঠী জহুরা, জান্নাতি, সাইফুল, সোহেল, মরিয়ম ও মনিরার।
স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল গাজী বলেন, “বাচ্চাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
এ বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদেকুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রে জানা গেছে, ব্রিজটির কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ফলে নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু না করা পর্যন্ত নির্মাণ কাজও স্থগিত থাকবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি জেনেছি, দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৭:২১ ● ৮৫ বার পঠিত