চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

চরফ্যাশনে কলেজছাত্রী লিজার আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশের গাফেলতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানাযায়, ভোলার তজুমদ্দিনে প্রেমিকের প্রতি প্রেমিকার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রেমিকার আত্মহত্যা করে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করেছে তজুমুদ্দিন থানা পুলিশ। রবিবার সকালে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কেয়ামূল্লাহ গ্রামে হাজী মঞ্জুরুল আলমের ঘরে এই ঘটনা ঘটে।
চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণফ্যাসন গ্রামের ইয়াছিনের কন্যা। শুক্রবার সন্ধ্যায় লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৩ নংওয়ার্ডের করিমগঞ্জ গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মোঃ সিয়াম (২১) এর সাথে তজুমদ্দিনে ঘুরতে আসে লিজা। তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় তজুমদ্দিন স্লুইগেট এলাকায় ছেলে মেয়ে একসাথে ঘুরতে আসলে স্থানীয় কিশোর গ্যাংদের সাথে হট্টগোল বাঁধে। এসময় পুলিশ ছেলে মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে থানা থেকে ছেলে মেয়েকে পুলিশ লিজার পরিবারের কাছে না দিয়ে ছেলের মামার জিম্মায় দেয়া হয়।
এলাকা সুত্রে জানা গেছে, লিজা বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রতারক প্রেমিক পালিয়ে যায় পরে অভিমানে লিজা হাজী মঞ্জুরুল আলমের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় ঔই বাড়ির দু’জনকে আটক করেছে তজুমুদ্দিন থানা পুলিশ।
লিজার বাবা নেই। সে ঢাকা মোহাম্মদপুর লালমাটিয়া মহিলা কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। লিজার ভাই শফির দাবী তাদেরকে আটকের পর তজুমুদ্দিন থানা পুলিশ আমার বোনকে আমাদের কাছে না দিয়ে ছেলের মামার জিম্মা দেয়া  হয়েছে কেন? এতে পুলিশের গাফেলতিতে আমার বোন আত্মহত্যা করেছে।
চরফ্যাশন থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে লাশ ময়না তদন্তের শেষে পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে এবং দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এএইচ/এমআর