
মঙ্গলবার ● ৫ মার্চ ২০১৯
চরফ্যশনে যৌতুকের শিকার মিনারা, আটক ১
হোম পেজ » ভোলা » চরফ্যশনে যৌতুকের শিকার মিনারা, আটক ১
চরফ্যাশন সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যশনের দুলারহাটে বর্বরোচিত কান্ড ঘটিয়েছে পরকীয়ায় আসক্ত পাষন্ড স্বামী। নীলকমল ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ডের শাহেদ আলীর ছেলে মামুন যৌতুকের জন্য তার স্ত্রীকে রক্তাক্ত জখম করে চরফ্যশন হাসপাতালে পাঠিয়েছে। হাসপাতালের বেডে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। এ বিষয়ে দুলারহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সোমবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মামলার ২নং আসামী পাষন্ড স্বামীর ছোট ভাই মাসুমকে গ্রেফতার করেছেন।
মিনারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ২০১৬ সালের দিকে দুলারহাট থানার নীলকমল একই ইউনিয়নের শাহেদ আলীর ছেলে মামুন এর সাথে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার সুখের কথা বিবেচনা করে জামাই মামুনকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা যৌতুক প্রদান করেন মিনারার পরিবার। এর পর চলতে থাকে তাদের সুখের সংসার। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় তাদের সংসারে একজন কন্যা সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু গত ছয় মাস ধরে তার স্বামী মামুন (২৩), ছোট ভাই মাসুম (২০), ছোট বোন মুক্তা (১৮), শাশুরী হালিমা (৪০), দাদী শাশুরী রাহিমা (৬০) মিলে তাকে বাড়ি থেকে আরও এক লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এনিয়ে তাকে তার বাবার বাড়িতেও পাঠিয়ে দিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মিনারার ইয়াতিম বাবা মা দু’জনের এক জনও জীবিত না থাকায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের চাহিদা মেটাতে পারেনি। সর্বশেষ গত ৪মার্চ/২০১৯ তারিখ সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় স্ত্রী মিনারা বেগম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বামী মামুন, শ্বাশুরী হালিমা,দাদী শাশুরী রহিমা, দেবর মাসুম, ননদ মুক্তা সহ তাকে বেধড়ক মারধর করে তার সমন্ত শরীর থেতলে দেয়। পাশের বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে মিনারা বেগম চরফ্যাশন সদর হাসাপাতালের ৩য় তলায় মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডের ০৫ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ছাড়াও মামুন একাধিক পরকীয়ার সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন স্ত্রী মিনারা বেগম। এ ব্যাপারে দুলারহাট থানা অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, মামলা দায়ের করা হয়েছে মামলার ২নং আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গবাল জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৯:২২ ● ৫৫১ বার পঠিত