
শুক্রবার ● ২৩ এপ্রিল ২০২১
কলাপাড়ায় ২৫ কি. মি. কাঁচা রাস্তার বেহাল অবস্থা, জনদুর্ভোগ
হোম পেজ » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় ২৫ কি. মি. কাঁচা রাস্তার বেহাল অবস্থা, জনদুর্ভোগকলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
পটুয়াখালীর মহিপুর ইউনিয়নের মহিপুর বাজার হতে ভায়া কাটাভারানী বেবিবাঁধ সড়ক দিয়ে ও ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়নের মনসাতলী এবং পার্শ্ববর্তী ধুলাসার ইউনিয়নে তারিকাটাÑঅনন্তপাড়া ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ২৫কি.মি. সড়ক চলাচলের সম্পূর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় থাকায় প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কাঁচা রাস্তা গুলো এখন ওই সব গ্রামবাসীর জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলাচলে পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ পথ চারীদের থমকে পড়েছে হাজারো মানুষের জীবন যাত্রা। বর্ষা মৌসুমে রাস্তা গুলো পানি-কাঁদায় একাকার হয়ে যায়। এমন দুরবস্থার জন্য অতিরিক্ত কাঁদা আর পানির কারনে কোন যানবাহন তো দুরের কথা জুতা পায়ে হাটতে অসম্ভব ব্যাপার। মনে হয় যেন রাস্তা নয় চাষের জন্য প্রস্তুত কোন জমি। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটু সমান কাদাঁ মাড়িয়ে চলাচল করত ওই সব গ্রামের হাজারো মানুষের। হাতে জুতা পানি-কাঁদা মাখা শরীরে চলে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার লোকজন।
স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তাটি পাঁকা করনে এলজিইড এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যে ও উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। দীর্ঘ দিনের এ ভোগান্তি নিরসনে এলাকাবাসী দাবী জানিয়ে সমস্যার সমাধানে উদাসীন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এমন দাবী ভূক্তোভোগী মানুষের। প্রতি বছর বর্ষাকাল এলে এ দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করে। ভোটের সময় অনেক জনপ্রতিনিধিরা এ এলাকার দুঃখ দুর্দশা লাঘবে সড়ক নির্মানে প্রতিশ্রতি দিলেও কখনোই সেই প্রতিশ্রতি বাস্তবায়ন নেই। দীর্ঘ দিন ধরে এলাকাবাসী একটি রাস্তার জন্য বিভিন্ন মহলের কাছে আবেদন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহিপুর বাজার হতে কাটাভারানি বেবিবাঁধ সড়ক দিয়ে মহিপুর, বিপিনপুর, সেরাজপুর, লতিফপুর, নিজ শিববাড়িয়া, ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর, মেহেরপুর, কাটাভারানি,কাজিকান্দা, সুরডগি, বরকুতিয়া, খাপড়াভাঙ্গা, মনসাতলী ,পার্শ্ববর্তী ধুলাসার ইউনিয়নে তারিকাটা ,নয়াকাটা, নয়াকাটা দিওর, বৌলতলী, বৌলতলীপাড়া, মুসলিমপাড়া, বেতকাটা, বেতকাটাপাড়া, খোচাউপাড়া. সোনাপাড়া, পক্ষিয়াপাড়া, অনন্তপাড়াসহ গ্রামের মানুষ মহিপুর থানা সদরে যাতায়াত করে থাকে। সড়কটির বিভিন্ন অংশে মাটি ক্ষয়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দের। এ সড়কের মহিপুর বাজার হতে প্রায় ২কি.মি. ইট সলিং রাস্তা ছিল। বর্তমানে তার চিহ্ন পর্যন্ত নেই।
তিনটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের ছ্ত্রা ছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য ওই রাস্তা দিয়ে মহিপুর কোÑঅপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহিপুর মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজ,বিপিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনসাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,তারিকাটা দাখিল মাদ্রাসা, ধুলাসার আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ,বৌলতলী সৈয়দপুর(নয়াকাটা)সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নয়াকাটা এবতেদায়ী মাদ্রাসা, অনন্তপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরচাপলী ইসলামীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় যেতে হয়একই রাস্তা দিয়ে। উপজেলার এ তিনটি ইউনিয়ন একেবারেই অবহেলিত। বন্যা নিয়ন্ত্রন বেবিবাধ এ সড়কের অধিকাংশ জায়গায় মাটি ক্ষয়ের ফলে বাধঁ হয়ে পড়েছে অপ্রশস্থ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, বেরিবাধের স্লোপে বসবাসকারী মানুষ তাদের প্রয়োজনে বেরিবাঁধ থেকে মাটি কেটে নেয়ার ফলে এ দশায় পরিনত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তার কারনে ঝিমিয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা। কারন একটি অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা যদি ভাল না হয় সেই অঞ্চলের মানুষদের জীবনমানে কোন গুরুত্ব নেই। এই এলাকার মানুষ স্বপ¦ দেখে যে কখনেই মৃত্যু আগে হয়তো গ্রামে রাস্তাটি পাঁকা দেখে যে পারবেন। কিন্তু সেই স্বপ¦ কি স্বপ¦ই থাকবেই নাকি বাস্তবে পরিনত হবে এমন শংকা নিয়েই দিনাপাত করছেন এখানকার বাসিন্দারা।
নয়াকাটা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. নোয়াব আলী হাওলাদার জানান,এলাকার রাস্তাঘাট পাকা ও খাপড়াভাঙ্গা নদীতে ব্রিজ নির্মান না হওয়ায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি এ এলাকায়। সড়ক এবং সেতু নির্মিত না হওয়ায় এ এলাকা গুলো অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
ধুলাসার ও ডাবলুগজ্ঞ, মহিপুর ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আ: জলিল আকনও অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন, আলহাজ্ব মো.ফজলু গাজী জানান, ওই রাস্তাটি খুবই জনগুরুত্বপুর্ন ও মানুষের জনস্বার্থে রাস্তাটি পাকা করা উচিত
কলাপাড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) মো. মোহন আলী জানান, রাস্তাটি যখন কয়েক কিলোমিটার তাহলে রাস্তাটি জনগনের জন্য খুবই প্রয়োজন তাহলে পরবর্তীতে রাস্তা পাকার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এইচকে/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৯:০৯ ● ৩৬৫ বার পঠিত