মঙ্গলবার ● ১৮ আগস্ট ২০২০

মঠবাড়িয়ায় যুদ্ধাপরাধে আমৃত্যু দন্ডিত আসামী জব্বার ইঞ্জিনিয়ার’র মৃত্যু

হোম পেজ » পিরোজপুর » মঠবাড়িয়ায় যুদ্ধাপরাধে আমৃত্যু দন্ডিত আসামী জব্বার ইঞ্জিনিয়ার’র মৃত্যু
মঙ্গলবার ● ১৮ আগস্ট ২০২০


মঠবাড়িয়ায় যুদ্ধাপরাধে আমৃত্যু দন্ডিত আসামী জব্বার ইঞ্জিনিয়ার’র মৃত্যু

পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া আসনের জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির নেতা ৭১’র যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু দ-িত আসামী আব্দুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ার (৯০) পলাতক অবস্থায় মারা গেছেন। আমেরিকার ফ্লোরিডায় তার মেয়ের বাসায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৮ আগষ্ট) ভোরে তিনি মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত অবস্থায় আমেরিকায় তার বড় মেয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন।

১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধের সময় আব্দুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ার মঠবাড়িয়ায় পিস কমিটির চেয়ারম্যান হয়ে বিশাল এক রাজাকাকার বাহিনী গড়ে তোলেন। ৩৬জন মুক্তিকামী মানুষের ওপর গণহত্যা, ৫৫৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ২০০জনকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করাসহ ৫টি গুরুতর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এছাড়াও তিনি সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ঘোষিত ৫০যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় তার নাম রয়েছে। ২০১৪ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় তিনি আমৃত্যু দ-িত হন। এছাড়া ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার নির্দেশে রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার ইসকান্দার মৃধার নেতৃত্বে একদল রাজাকার বাহিনী দু’টি গণহত্যাসহ ৮মেধাবী ছাত্র হত্যা, হিন্দু বাড়ীতে লুটপাট, নারী নির্যাতন ও অগ্নি সংযোগ করে।
২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার টিকিকটা ইউনিয়নের সূর্যমণি গ্রামের ২৪ হিন্দু বাঙালীকে গণহত্যার গুলি খেয়ে বেঁচে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত জ্ঞানেন্দ্র মিত্র (৬২) বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আব্দুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ারকে প্রধান আসামী করে সাত জনকে আসামী করা হয়। এছাড়া মামলায় আরও ৬০/৬৫ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়। ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুানালে মামলা স্থানান্তরিত হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধি পাঁচ ধরনের অভিযোগে ২০১৪ সালের ১ মে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। ওই বছর ১২ মে জব্বারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। তবে এর আগে ২০১০ সালে তিনি গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আমেরিকায় আত্মগোপন করেন। ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এনায়েতুর রহীম এর নেতৃত্বাধিন গঠিত ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতে পলাতক যুদ্ধাপরাধি আব্দুল জব্বারের আমৃত্যু কারাদ-াদেশ দেওয়া হয়।

আরএইচএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:০৭:৫১ ● ৩৬৯ বার পঠিত