
সোমবার ● ১০ আগস্ট ২০২০
তজুমদ্দিনে বন বিভাগের ৬১লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
হোম পেজ » ব্রেকিং নিউজ » তজুমদ্দিনে বন বিভাগের ৬১লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগতজুমদ্দিন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ভোলার তজুমদ্দিনের বন বিভাগের বীট কর্মকর্তা আঃ রাজ্জাক ও রেঞ্জ কর্মকর্তা আকরাম হোসেন যোগসাজসে ৯৫জন বন প্রহরীর নামে ভূয়া তালিকা তৈরী করে ৬মাসের বেতন ভাতার প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বন প্রহরায় নিয়োজিতদের বেতন পরিশোধ না করায় এই দূর্ণীতির ব্যাপারটি ফাঁস হয়ে যায়। ভূক্ত ভোগীরা এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বন মন্ত্রনালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, দূর্র্ণীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় তজুমদ্দিনের মেঘনার জেগে উঠা বিভিন্ন চরে বনায়নকৃত ১৩শত হেক্টর বাগান পাহারার জন্য ৯৫জন বন প্রহরী (ওয়াসার) নিয়োগের বিধান রয়েছে। যারা জন প্রতি ৫৫৬০/- টাকা হারে জানুয়ারী ২০২০ থেকে ১৮ মাস বেতন পাবেন। চর গুলোতে ১৫ থেকে ২০ জনকে পাহারার কাজে খাটিয়ে বন বিভাগের শশীগঞ্জ বীট কর্মকর্তা আঃ রাজ্জাক ও দৌলতখান রেঞ্জ কর্মকর্তা আকরাম হোসেন যোগসাজসে ৯৫জনের নামে ভূয়া তালিকা তৈরী করে এপ্রিল ও জুন ২০২০ এ দুইটি ভাউচারে ৬মাসের বিল সাড়ে ৩১ লক্ষ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা ও আগাছা বাচাই বাবৎ ২৯ লক্ষ ৪০ হাজার ৬০০ টাকা সহ মোট ৬১ লক্ষ ৯ হাজার ৮০০ টাকা উত্তেলন করেন। বন পাহারার কাজে নিয়োজিত থাকা মোঃ হাচান, আলমগীর, মিজান, জুয়েল সহ ১৫/২০ জনের ৬ মাসের বিল ভাতা পরিশোধ না করায় দূর্ণীতির ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। বেতন ভাতা না পেয়ে তারা প্রায় ৬১ লক্ষ টাকা আত্মসাতের তদন্ত ও বিচার দাবি করে বিভিন্ন দপ্তর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শশীগঞ্জ বীট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক দুইটি বিল উত্তেলনের কথা স্বীকার করে বন প্রহরীর (ওয়াসার) এর তালিকা দৌলতখান রেঞ্জ কর্মকর্তার কাছে আছে বলে জানান।
ভোলা সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ জামাল উদ্দিন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএস/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৫:৪৫ ● ৩৫৭ বার পঠিত