
শনিবার ● ২ নভেম্বর ২০১৯
আমতলীতে সবুজ বেষ্টনীর গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বনদস্যুরা!
হোম পেজ » বরগুনা » আমতলীতে সবুজ বেষ্টনীর গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বনদস্যুরা!আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী উপজেলা গুলিশাখালী ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে বন বিভাগের সৃজিত সবুজ বেষ্টুনীর গাছ রাতের আঁধারে কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে বনদস্যুরা।
জানাগেছে, ১৯৬৭ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড গুলিশাখালী ইউনিয়নকে বন্যা জলোচ্ছাস ও পায়রা নদীর ভাঙ্গণ থেকে রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ করে। ১৯৮৮ সালে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের দুই পাশে বন বিভাগ সবুজ বেষ্টনীর প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করে ।ওই গাছ বর্তমানে বৃহৎ গাছে পরিনত হয়েছে। গত এক মাস ধরে রাতের আধারে ওই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের সবুজ বেষ্টনীর গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বনদস্যুরা। অভিযোগ রয়েছে বন বিভাগের লোকজনের সহযোগীতায়ই নিধন হচ্ছে এ সবুজ বেষ্টনীর গাছপালা। স্থানীয়রা বন বিভাগ কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না। বনদস্যুদের সাথে রয়েছে বন বিভাগের লোকজনের সখ্যতা এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। গত এক মাসে আঙ্গুরকাটা. গুলিশাখালী বাজার, ও হরিদ্রাবাড়িয়া এলাকা থেকে বন বিভাগের সৃজিত চাম্বল,আকাশমনি,শিশু, জিলাপি ও বাবল গাছ কেটে নিয়ে গেছে বনদস্যুরা।
শনিবার আঙ্গুরকাটা. ডালাচারা, উত্তর গুলিশাখালী, গুলিশাখালী বাজার, হরিদ্রাবাড়িয়া ও কলাগাছিয়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের পাশের সবুজ বেষ্টনীর পরিপক্ক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে গেছে। গাছের গোড়ালি ও ডালপালা পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় সোহরাফ গাজী ও আবুল বাসার বলেন, দিনে গাছ খাড়া দেখলেও সকালে ওই গাছ আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বনদস্যুরা রাতের আধাঁরে গাছের সারি অংশ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আবুল হোসেন ও ইব্রাহিম মৃধাসহ ৮/১০ জন বনদস্যুরা গাছ কেটে নিয়ে গেছে। তারা আরো বলেন, বন বিভাগের লোকজনকে জানালেও তারা কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
আমতলী বন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান আকন বলেন, গাছ কাটার খবর পেয়ে লোক পাঠিয়েছি এবং গাছের একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এমএইচকে/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৮:০৩ ● ৪২৯ বার পঠিত