আমতলী-তালতলীর কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের মানবেতর জীবন

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলী-তালতলীর কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের মানবেতর জীবন
বৃহস্পতিবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২০


প্রতীকী ছবি

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণে স্থানীয়ভাবে পরিচালিত আমতলী-তালতলী উপজেলার শতাধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে তিন শতাধিক শিক্ষক। ফলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতন জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এসব কর্মহীন শিক্ষকদের দ্রুত সহযোগীতার দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ৩০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। ওই সকল বিদ্যালয়ে অন্ততঃ পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। এর মধ্যে সমাপনী পরীক্ষায় আমতলী উপজেলায় শীর্ষস্থান ধরে  রেখেছে আঁচল ইন্টারন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এবং তালতলীর এইচ এন প্রি-ক্যাডেট স্কুলসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর ফলে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তি করে। দুই উপজেলায় কিন্ডার গার্টেনগুলোতে কর্মরত আছেন অন্তত তিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রামণে স্কুল বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের বেতন এবং শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ রয়েছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে ওই সকল বিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট তিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী। চলমান সংঙ্কটে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। দ্রুত এ সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সহযোগীতার প্রয়োজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক সাগরকন্যাকে বলেন, সরকারী বেতন না পেলেও আমরা শিক্ষক। কেউ আমাদের কষ্টের কথা বুঝে না। অনেক শিক্ষক পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। সরকারের কাছে এ সকল শিক্ষকদের সহযোগীতার দাবী জানাই।
আমতলী আচল ইন্টারন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবদুর রশিদ খান বলেন,  বেতন না থাকলেও শিক্ষক পরিচিতির কারণে আমরা অন্যের নিকট সাহায্য চাইতে পারি না। চলমান প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে  আমাদের শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দ্রুত এ সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি সহায়তার আবেদন জানাচ্ছি।
আমতলী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বেতন দিয়ে চলে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্কুল বন্ধ থাকায় তারা বেতন পাচ্ছে না। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। ওই শিক্ষকদের সরকারীভাবে সহযোগীতা করা প্রয়োজন।

এইচএকে/এনবি

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪৫:৫১ ● ৪৫৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ