রবিবার ● ২৬ অক্টোবর ২০২৫
তালতলীতে বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি
হোম পেজ » রাজনীতি » তালতলীতে বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, তালতলী (বরগুনা)
বরগুনার তালতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক লড়াইয়ে দলের দুঃসময়ে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তৃণমূল নেতাদের দাবি, জনপ্রিয় ও মানবিক এই নেতা দলের কঠিন সময়েও পাশে থেকেছেন। আইনি সহায়তা, আর্থিক সহযোগিতা ও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তাই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবি করেন উপজেলা ও তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপি নেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি তালতলী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক, বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তালতলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২০২৪ সালের ৫ জুন দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে বহিষ্কারের পরও তিনি দলীয় নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি ২০০৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওয়ান ইলেভেন সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২৫টি মামলার আসামি হন এবং চারবার কারাবরণ করেন।
তৃণমূল নেতাদের মতে, মোস্তাফিজুর রহমান ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে জেল-জুলুম, নির্যাতন ও হামলার শিকার হয়েও কর্মীদের পাশে থেকেছেন। আহত কর্মীদের চিকিৎসা, পরিবারগুলোর আইনি সহায়তা এবং দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিতির কারণে তিনি তৃণমূলে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সুমন, যুবদলের সদস্য সচিব রিয়াজুল ইসলাম, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আল-আমিন হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসলাম আকন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম আহসান, মংসেলেন ও লিটন মোল্লা বলেন, তার নেতৃত্বে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছি। দলের দুঃসময়ে তিনি পাশে ছিলেন। তাই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চান।
এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, আমার বাবা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তার হাত ধরেই রাজনীতিতে আসা। তৃণমূল কর্মীদের অনুরোধে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম, যা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। দলের দুঃসময়ে পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। আশা করি, দল আমাকে সংশোধনের সুযোগ দেবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লা বলেন, মোস্তাফিজুর রহমানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে আবেদন দলের হাইকমান্ডে রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনের আগে সিদ্ধান্ত আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪৩:২৯ ● ৯২ বার পঠিত
