
রবিবার ● ১০ আগস্ট ২০২৫
পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের প্রভাব, জামাতিকরণের অভিযোগ
হোম পেজ » পটুয়াখালী » পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের প্রভাব, জামাতিকরণের অভিযোগসাগরকন্যা প্রতিবেদক, পবিপ্রবি (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের দখলদারিত্ব বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই বিএনপিপন্থি শিক্ষক রয়েছেন বলে অভিযোগ। বাকি ৫টি পদে রয়েছেন জামাতপন্থি শিক্ষকরা।
সম্প্রতি জামায়াতপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও রিজেন্ট বোর্ড সদস্য পদে যথাক্রমে অধ্যাপক ড. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার এবং অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ নিয়োগের পর সহযোগী অধ্যাপক এবিএম সাইফুল ইসলাম ছাত্রবিষয়ক উপ-উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি নিজেকে বিএনপিপন্থি শিক্ষক ও ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দাবি করে অভিযোগ তোলেন যে, প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে জামাতিকরণ করছে এবং জুনিয়র শিক্ষককে সিনিয়রের পদে বসিয়েছে।
তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধ্যাপক ড. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার গ্রেড-২ এর অধ্যাপক এবং বিদেশ থেকে পিএইচডি ও পোস্ট-ডক ডিগ্রিধারী। অপরদিকে, এবিএম সাইফুল ইসলাম গ্রেড-৪ এর সহযোগী অধ্যাপক এবং দেশের অভ্যন্তর থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
এছাড়া, নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ইউট্যাব পবিপ্রবি ইউনিটের সভাপতির পদে থাকার কারণে অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদকে রিজেন্ট বোর্ড সদস্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী হুসাইন আল মামুন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষকদের এমন দখলদারিত্ব হতাশাজনক। সাবেক শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান মনে করেন, নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব নয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও গবেষণাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের চেয়ে যোগ্যতাকে গুরুত্ব দিয়ে পদায়ন করা হয়েছে। কারও স্বার্থে হীন কর্মকাণ্ড দুঃখজনক এবং অব্যাহত থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিতর্কিত অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদকে কেন রিজেন্ট বোর্ডে আনা হলো- এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৯:৩৫ ● ৯২ বার পঠিত