
সোমবার ● ৭ জুলাই ২০২৫
হয়রানির শিকার পর্যটকরা কুয়াকাটায় হোটেল ভাড়ায় দালালচক্রের থাবা!
হোম পেজ » লিড নিউজ » হয়রানির শিকার পর্যটকরা কুয়াকাটায় হোটেল ভাড়ায় দালালচক্রের থাবা!সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটায় প্রতিদিনই দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগে এদের অনেকে রাতযাপন করেন স্থানীয় আবাসিক হোটেলগুলোতে। কিন্তু সেখানে পা রাখার আগেই পর্যটকদেও ভোগান্তিতে ফেলছে হোটেল মার্কেটিংয়ের নামে সক্রিয় একটি দালালচক্র।
সোমবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াকাটা চৌরাস্তা ও ঘাটলা জামে মসজিদসংলগ্ন এলাকায় হোটেল দালালদের সরব উপস্থিতি।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যাত্রীবাহী বাসগুলো জিরোপয়েন্টে না গিয়ে তুলাতলী বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। প্রায় দুই কিঃমিঃ দূরত্বের এই বাসস্ট্যান্ড থেকেই অটোচালক ও দালালরা শুরু কওে হোটেলের কার্ড দেখিয়ে টানাহেঁচড়া।
নাটোর থেকে আসা পর্যটক অরবিন্দু হালদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাস থেকে নামতেই চার-পাঁচজন এসে আবাসিক হোটেলের কার্ড ধরিয়ে টানাটানি শুরু করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ব্যাগ-লাগেজপত্র এদের অটোতে তোলার চেষ্টাও করে। কি একটা বিরক্তিকর অবস্থা, তা কেবল ভুক্তভোগী জানেন।
শরীয়তপুর থেকে আসা দম্পতি জুনায়েদ ও ফারিয়া বলেন, আমরা সৈকতের কাছাকাছি হোটেল খুঁজছিলাম। কিন্তু অটোচালক আমাদের কম খরচের ভালো মানের হোটেলের কথা বলে ভিতরে নিয়ে যাচ্ছিল। পরে বুঝে অন্য অটোতে উঠি। এসব হয়রানিতে আমাদের নিরাপত্তার ঝুঁকিও অনুভব করেছি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কিছু হোটেল মালিক দালালদের বিরোধিতা করলেও বেশ কিছু হোটেল মালিকরা গোপনে তাদের সমর্থনযুগিয়ে যাচ্ছেন। মাস সেরা গেস্টদাতা হিসেবে তারা অটোচালকদের পুরস্কৃত করায় দালালচক্রের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। ফলে পর্যটকদের পকেট থেকে আবাসিক হোটেল ভাড়ার নামে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত টাকা হোটেল ম্যানেজারদের হাত বদল হয়ে দালালচক্রের হাতে যায়।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, কিছু অসাধু দালাল ও অটোচালকের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। এতে পর্যটকদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত। তাই পর্যটকদের অনুরোধ, নিজেরদের পছন্দমতো হোটেল বেছে নিন, তাতে ভালো রুম কম ভাড়ায় পাওয়া যাবে।
কুয়াকাটা ইজিবাইক মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান বলেন, আমরা হোটেলে গেস্ট দিলে কমিশন পাই- এটা স্বীকার করি। তবে কেউ যদি হয়রানি করে, আমরা ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে কলাপাড়া ইউএনও এবং কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য-সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আবাসিক হোটেলে দালালদের থাবা বরদাশত করা হবে না। শিগগিরই বাইক ও ইজিবাইক চালকদের নিয়ে বৈঠকে বসব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৫:০৬ ● ১৩২ বার পঠিত