মঙ্গলবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

নেছারাবাদে পাহারাদার কর্তৃক গার্মেন্টসকর্মী ধর্ষণের শিকার!

হোম পেজ » পিরোজপুর » নেছারাবাদে পাহারাদার কর্তৃক গার্মেন্টসকর্মী ধর্ষণের শিকার!
মঙ্গলবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০২৫


নেছারাবাদে পাহারাদারের বিরুদ্ধে গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ!

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

নেছারাবাদে বাজারের পাহারাদার কর্তৃক এক গৃহবধূ গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার গভীর রাতে উপজেলার মিয়ারহাট বাজারে দোকানের চিপার ভিতরে নিয়ে ওই নারীকে দুইজন পাহারাদারের সহযোগীতায় অপর পাহারাদার কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হন। পরে বাকি দুইজনেও ধর্ষণের চেষ্টা চালালে ডাক চিৎকারে তারা সটকে পড়ে। অভিযুক্ত তিন ব্যাক্তি মিয়ারহাট বাজারের রাত্রীকালিন পাহারাদারের কাজে নিয়োজিত এবং পাহারাদার তৈয়ব আলী (৬০), বানারীপাড়র ইলুহার গ্রামের মোসলেম মোল্লার ছেলে, মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৫), একই গ্রামের মৃত আব্দুল আওয়ালের ছেলে এবং মোঃ সাইফুল (৪৫) নেছারাবাদের কৌড়িখাড়া  গ্রামের মেত ইসরাফিলের ছেলে।
ঘটনার পর ওই নারী রাতেই টহলরত পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ পাহারাদার তিনজনকে ধরে থানায় নিয়ে এসেছেন। এ ঘটনায় থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী ওই নারী ঢাকা থেকে নিজ বাড়ীর উদ্দেশে গভীর রাতে নেছারাবাদে আসেন। নেছারাবাদ ছারছীনা বরিশাল বাসষ্ট্যান্ডে নেমে সন্ধ্যা নদী খেয়ায় পাড় হয়ে মিয়ারহাট ট্রলার ঘাটে নামে এসময় বাজারের পাহারাদার মো: তৈয়ব আলী মোল্লা(৬০), মো: সহিদুল ইসলাম(৩০),মো: সাইফুল ইসলাম(৫০) নামে তিনজন মিলে ওই নারীকে বিভিন্ন ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায় তৈয়ব আলী জোর পূর্বক অপর দুই পাহারাদারের সহযোগীতায় ওই নারীকে দোকানের চিপায় নিয়ে ধর্ষন করে। পরে সহিদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম ধর্ষনের চেষ্টা করলে নারীর ডাক চিৎকারে তারা সটকে পড়ে। ঘটনার পর ওই নারী বাজারে টহলরত পুলিশকে জানায়। পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ওই গার্মেন্টসকর্মী ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমি গাজীপুর গার্মেন্সে কাজ করি। মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে একদিনের জন্য বাড়ীতে আসি। মিয়ারহাট বাজারে পৌছাতে অনেক রাত্র হয়। পরে বাজারের পাহাড়াদাররা বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তৈয়ব আলী নামে একজনে পুলিশের ভয় দেখিয়ে অপর দুই জনের সহযোগীতায় আমাকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে। পরে বাকি দু’জনে ধর্ষনের চেষ্টা করলে আমার চিৎকারে তারা সটকে পড়ে।

নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বনি আমীন জানান, ওই নারী তার জবানবন্দিতে ধর্ষনের কথা বলেছে। ঘটনা শুনে তিনজনকেই ধরে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। আসামীদের আদালতে পাঠানোর প্রকৃয়া চলোমান।

আরএ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:০৮:৩৩ ● ১৪৪ বার পঠিত