মঙ্গলবার ● ১৯ নভেম্বর ২০২৪

আমতলীতে সরকারী গাছ কেটে নিলেন প্রধান শিক্ষক!

হোম পেজ » বরগুনা » আমতলীতে সরকারী গাছ কেটে নিলেন প্রধান শিক্ষক!
মঙ্গলবার ● ১৯ নভেম্বর ২০২৪


আমতলীতে সরকারী গাছ কেটে নিলেন প্রধান শিক্ষক!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহনকৃত জমির রেইন্টি, নারিকেল গাছ কেটে নিয়েছেন বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোসাঃ মাহফুজা আক্তার। এমন অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আফাজ উদ্দিন বিশ্বাসের নাতি আল আমিন বিশ্বাস।
কিন্তু বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের দাবী তিনি ওই গাছ রোপন করেছেন তাই গাছ কেটে নিতেছি। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুওে আড়পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
জানাগেছে,  বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৬৮ সালে আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৪৪ নং পোল্ডারে জমি অধিগ্রহন করেন। ওই জমিতে স্থানীয়রা রেইন্টি ও নারিকেল গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেন।  ওই জমি সংলগ্ন জমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আফাজ উদ্দিন বিশ্বাস আড়পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। ওই জমির পাঁচটি রেইন্টি ও দুইটি নারিকেল গাছ মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাঃ মাহফুজা আক্তার কেটে ফেলেছে। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতার নাতি আল আমিন বিশ্বাস অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরকারী কোন অনুমতি ছাড়াই গাছ কেটে ফেলেছেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দাবী করেছেন জমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের হলেও গাছ তিনি রোপন করেছেন বিধায় কেটে ফেলেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। এ ঘটনায় আল আমিন বিশ্বাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাছ কাটতে নিষেধ করলেও প্রধান শিক্ষক তা মানছেন না।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে চারজন শ্রমিক গাছ কাটছেন। এবং গাছের কিছু কাটা অংশ মাটিতে স্তুপ করে রেখেছেন।
গাছকাটা শ্রমিক জাকির হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে আমরা গাছ কাটছি।
প্রধান শিক্ষক মোসাঃ মাহফুজা আক্তার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি হলেও গাছ আমি রোপন করেছি। আমার রোপিত গাছ আমি কেটে নিচ্ছি। গাছ কাটতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি আরো বলেন, আমার বিদ্যালয় ভবনের সমস্যা হয় বিধায় গাছ কেটেছি।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হিমেল মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। খোজ খবর নিয়ে দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, সরকারী জমির গাছ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ কাটতে পারবে না। প্রধান শিক্ষক গাছ কেটে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ০:১৪:৪২ ● ১১৬ বার পঠিত