শুক্রবার ● ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১৫ বছর ধরে অচল এক্স-রে মেশিন, নেই টেকনিশিয়ান
হোম পেজ » পটুয়াখালী » দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১৫ বছর ধরে অচল এক্স-রে মেশিন, নেই টেকনিশিয়ান
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, দুমকি (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ বছর ধরে এক্স-রে মেশিন অচল পড়ে আছে। টেকনিশিয়ান না থাকায় নতুন মেশিনটি আসার পরও তালাবদ্ধ রয়েছে। এতে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বাইরে এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটরও দীর্ঘদিন ধরে বিকল। ফলে বিদ্যুৎ গেলে চিকিৎসক ও নার্সদের অন্ধকারে সেবা দিতে হয়। কিছুদিন আগে মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা দেয়ার ছবি ভাইরাল হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। প্যাথলজি বিভাগ চালু থাকলেও সব ধরনের রক্ত পরীক্ষা করা যায় না। স্থানীয়দের অভিযোগ-ইচ্ছেমতো বাইরের প্যাথলজিতে পাঠানো হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি একটি নতুন এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হলেও টেকনিশিয়ান না থাকায় এখনও চালু হয়নি। দুমকি, পার্শ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ, বাউফলসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত রোগী প্রতিদিন এখানে চিকিৎসা নিতে এলেও প্রয়োজনীয় সেবা পান না।
রাজাখালী গ্রামের পরি বেগম বলেন, পায়ে ব্যথার জন্য ডাক্তার এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষা দিয়েছেন। বাইরে বেশি খরচ পড়ে। টাকার অভাবে সব পরীক্ষা করতে পারিনি। তাঁর স্বামী সেরজন বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে, কিন্তু আমরা সেবা পাই না। হাসপাতালে পরীক্ষা ফ্রি হলে উপকার হতো।
হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান আরিফুর রহমান বলেন, সব পরীক্ষা এখানে করানো সম্ভব হয় না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর শহিদুল হাসান শাহীন বলেন, এক্স-রে টেকনিশিয়ানের জন্য কয়েক দফা চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। জেনারেটর মেরামতের চেষ্টা চলছে।
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মো: খালেদুর রহমান মিয়া বলেন, উপযুক্ত আল্ট্রাসনোগ্রাম চিকিৎসক না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। এক্স-রে টেকনিশিয়ানের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন দপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে, দ্রুত সমাধান হবে।
এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৮:৪৮ ● ৩১ বার পঠিত
