বুধবার ● ১২ নভেম্বর ২০২৫
সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ! ইন্দুরকানী হাসপাতালে পানিশোধনাগার তিন মাস ধরে বন্ধ
হোম পেজ » পিরোজপুর » সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ! ইন্দুরকানী হাসপাতালে পানিশোধনাগার তিন মাস ধরে বন্ধ

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর)
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানিশোধনাগারের তথ্য নিতে গেলে সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছে এক ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ননী গোপাল ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মিঠুনকে সাংবাদিককে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে নির্দেশ দেন। তবে কর্মকর্তার সামনেই মিঠুন সাংবাদিককে বলেন, পরে দেব। সাংবাদিকরা অনুরোধ করলে তিনি উত্তরে বলেন, এখন কিছুই দেব না। বিষয়টি জানালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অসহায়ভাবে বলেন, আপনি নিউজ করেন, ওরা আমার কথাও শোনে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইন্দুরকানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানিশোধনাগারটি গত ২৫ আগস্ট থেকে বন্ধ রয়েছে। ২০২২ সালে জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ২২ লাখ টাকায় এই প্লান্টটি স্থাপন করেছিল। এটি হাসপাতাল ও আশপাশের মানুষের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত। রোগীরা প্রতি লিটার পানি এক টাকায় কিনতে পারতেন।
তবে তিন মাস ধরে প্লান্টটি বন্ধ থাকায় রোগীরা এখন বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন। চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী সাগরকন্যাকে বলেন, এখানে এলে পানি কিনে খেতে হয়। অনেক সময় আমাদের কাছে টাকা থাকে না। এত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি বন্ধ থাকা কর্তৃপক্ষের অবহেলারই প্রমাণ।
পানিশোধনাগারের অপারেটর সুরঞ্জিত জানান, এখন পর্যন্ত আড়াই লক্ষ লিটার পানি শোধন করা হয়েছে। ফান্ডে এক লাখ টাকা আছে। মেমব্রেনের দাম ৯৬ হাজার টাকা।
প্রশ্ন করা হলে আড়াই লক্ষ লিটার পানি বিক্রি করে ফান্ডে মাত্র এক লাখ টাকা কেন, জবাবে তিনি বলেন, সিস্টেমলেস। এরপর কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মতিয়ার রহমান বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। টিএইচও সাহেবকে বলেন, তিনি আমাকে জানাবেন।
জেলা উপসহকারী স্বাস্থ্য প্রকৌশলী মঈনুল ইসলাম বলেন, তারা আমাদের কাছে চিঠি দিয়েছিল। আমরা জানিয়েছি- প্লান্টের মেমব্রেন আমাদের রেটলিস্টে নেই। পানি বিক্রয়ের টাকা থেকেই মেমব্রেন কিনে প্লান্টটি চালু করা সম্ভব ছিল। এত সময় লাগার কথা নয়।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালে কর্মরত কিছু স্টাফ বছরের পর বছর একই জায়গায় বদলি ছাড়াই কাজ করছেন। অভিযোগ রয়েছে, উপরমহলে প্রভাব ও অর্থের লেনদেনের মাধ্যমে তারা একই কর্মস্থলে থেকে যাচ্ছেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৯:১৪ ● ৩১ বার পঠিত
