সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর মহিপুর থানায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে শহিদুল ফকির (৪০) নামে এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরা গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত শহিদুল ফকির ওই গ্রামের আলী ফকিরের ছেলে এবং একটি মাছ ধরার ট্রলারের মাঝি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, নিহত শহিদুলের ট্রলারে কর্মরত এক জেলের কাছে মাত্র ২৪০০ টাকা পাওনা ছিলেন লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ ফকিরের ছোট ভাই সোহেল ফকির (৩৫)। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শহিদুলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোহেল ফকির তাকে মোটা লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই শহিদুল লুটিয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে সজল (১৯) অভিযোগ করে বলেন, “আমি তাকে টাকা পরিশোধ করে দিয়েছিলাম। তারপরেও বাবাকে গালিগালাজ করে, বিএনপি করে- এমন কথা বলে মাথায় মোটা কাঠ দিয়ে আঘাত করে।”

এ ঘটনায় লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, “এটি একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড। অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরেই নানা অপরাধে জড়িত। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই—অপরাধীর দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।”

এদিকে, অভিযুক্ত সোহেল ফকিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, “খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় এনেছে। অভিযুক্ত সোহেল ফকির থানাভুক্ত একাধিক মামলার আসামি। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালাচ্ছে।”