দুমকিতে এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » দুমকিতে এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ!
শুক্রবার ● ২১ অক্টোবর ২০২২


দুমকিতে এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ!

দুমকি(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর দুমকিতে বাংলাদেশ ডেভেলমমেন্ট সোসাইটি (বিডিএস) নামের এনজিও সংস্থায় ঋণ প্রত্যাশী জনৈক গৃহবধূকে মাঠকর্মী কর্তৃক মারধরসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠেছে। অন্তত: মাস দেড়েক ঘুরাঘুরির পড়েও ওই গৃহবধুকে ঋণ না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনাটি ঘটে।
গতবৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার আঠারোগাছিয়া এলাকায় এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটেছে। এঘটনার বিচার চেয়ে ভিকটিম গৃহবধু দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভিকটিমের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের আঠারোগাছিয়া গ্রামের জাকির শিকদারের স্ত্রী নাসরিন বেগম (৪০) দেড় মাস আগে বাংলাদেশ ডেভেলমমেন্ট সোসাইটি(বিডিএস) নামের এনজিও সংস্থার দুমকি শাখার মাঠ হাবিবুর রহমানের কাছে ৫০হাজার টাকা লোনের আবেদন করেন। এনজিও’র শর্তমতে ৪হাজার টাকা জামানতও দেন তিনি। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পেড়িয়ে গেলেও ঋণ না দেয়ার নাসরিন বেগম ত্যাক্ত বিরক্ত হন। এঅবস্থায় ফিল্ড অফিসার হাবিবুর রহমানকে আঠারোগাছিয়া এলাকায় দেখতে পেয়ে ওই গৃহবধু নাসরিন তার ঋণ না দেয়ার কারণ জানতে চায়। এনজিওকর্মী হাবিবুর রহমান গৃহবধু নাসরিনের কথা শুনেও না শোনার ভান করলে সে সামনে দাড়ায়। এসময় কথার কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতিতে গড়ায়। উপস্থিত লোকজনের সামনে ওই এনজিওকর্মী হাবিব গৃহবধু নাসরিনকে কিল-ঘুষি মেরে বে-আভ্রু করে ফেলে।  এ ঘটনায় নাসরিন হাবিবকে বিবাদী করে দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরে করেছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আঠারোগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা মো: শাখাওয়াত হোসেন বলেন, নাসরিন আগে হাবিবের গায়ে হাত দিছেন। পরবর্তীতে হাবিবও তাকে মারধর করেছেন। তবে অপর কয়েকজন বলেন, ওই গৃহবধুর দোষ বেশী, এনজিও কর্মী নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে কিল-ঘুষি মেরে তাকে লাঞ্চিত করেছে। অভিযুক্ত এনজিও কর্মী হাবিবুর রহমান মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি তাকে মারধর করিনি, উল্টো সে আমাকে মারধর করেছে এবং আমার পরনের শার্ট ছিড়ে ফেলছেন।
এদিকে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে ভিকটিমের বিরুদ্ধে উল্টো এনজিও কর্মীকে মারধর ও ফিল্ডকালেকশনের টাকা ছিনতাইয়ের মামলা দায়েরের গুনজন শোনা গেছে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা ঘটনার পর পরই দুমকি থানা পুলিশকে এ সংক্রান্ত একটি মৌখিক অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা যায়। বিডিএস দুমকি শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সজল কুমার দাস বলেন, ওই গৃহবধুকে কখনো লোন দেয়ার কথা বলা হয়নি। সঞ্চয় জমা দেয়ার তথ্যও সঠিক নয় দাবি করে বলেন, গ্রুপনেত্রীর মাধ্যমে সদস্য করা হয়, কেন্দ্র সভাপতির কাছে সঞ্চয়ের টাকা জমা দিলেও তা মাঠকর্মী নেয়নি। লোন না দেয়ার ক্ষোভে ওই মহিলা এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তার পড়েও ক্ষতিয়ে দেখছি, অভিযোগের সত্যতা পেলে সঠিক বিচার করা হবে।
দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুস সালাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৮:২৯ ● ১০২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ