দুমকিতে অচলের ষ্ট্যাম্পে রিস্কাচালক কারাগারে!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » দুমকিতে অচলের ষ্ট্যাম্পে রিস্কাচালক কারাগারে!
সোমবার ● ১৮ জুলাই ২০২২


দুমকিতে অচলের ষ্ট্যাম্পে রিস্কাচালক কারাগারে!

দুমকি (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর দুমকিতে মামলাবাজ সহদর ছোট ভাইয়ের সাজানো মামলায় হতদরিদ্র রিস্কা চালক বড় ভাই রফিকুল ইসলম খানকে ১০দিন যাবৎ জেল হাজতবাস করতে হচ্ছে। গ্রাম্য সালিশে অচলনামার ৩শ’টাকার নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে ৩লক্ষ টাকা ধার নেয়ার মিথ্যে মামলায় বৃদ্ধ রফিক খানের হাজতবাসসহ অসহায় পরিবারকে অন্যায় ভাবে হয়রানীর অভিযোগ ওঠেছে। জেল হাজতে থাকা রিস্কা চালক রফিক খানের মেঝ কন্যা মোসা. রিমা আক্তার গতকাল সোমবার বিকেল ৪টায় প্রেসক্লাব দুমকির হলরুমে আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে রিমা আক্তার অভিযোগ করে জানায়, জেলার দুমকি উপজেলাধীন শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত সুলতান খার ছোট ছেলে মামলাবাজ রুহুল আমিন খানের সাথে তার বাবা রফিক খানের জমিজমার পূর্ব বিরোধ আছে। ৪বছর পূর্বে পৈত্রিক ওয়ারিশি সম্পত্তির বিরোধ নিস্পত্তির জন্য স্থানীয় গণ্যমান্যদের শালিস বৈঠকে ১শ’ টাকার ৩খানা নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে (কশ ৯৫০৭৩১২,  ৯৫০৭৩১৩, ৯৫০৭৩১৪) এ প্রথম পক্ষে তার বাবা রফিক খানের স্বাক্ষর নেয়া হয়। একই স্ট্যাম্পে ২য়পক্ষ রুহুল আমিনসহ ৬জন ওয়ারিশের স্বাক্ষর নেয়ার কথা ছিল। কিন্ত রুহুল আমিনের স্বাক্ষরের পর আর কেউ স্বাক্ষর না করায় শালিস বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়। দু’জনের স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্পখানা উপস্থিত শালিস ও নিকটাত্মীয় দুমকি জনতা কলেজের  প্রভাষক আবদুল হালিম খানের জিম্মায় রাখা হয়। মামলাবাজ রুহুল আমিন খান সেই স্ট্যাম্প হাতিয়ে নিয়ে ৩লক্ষ টাকা ধার নেয়ার অঙ্গিকার সৃষ্টি করে অতিগোপনে আমার বাবার বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১১৬/২২। মামলার নোটিশও গোপন করা হয়। লোকজনের মুখে মামলার খবর শুনে গত ৬ জুলাই হাজিরা দিতে গেলে আমার নির্দোষ বাবাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এদিকে ৬সদস্যের হতদরিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম রিস্কা চালক বাবা জেল হাজতে থাকায় আমরা একরকম উপবাসে চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি। প্রতিপক্ষ মামলাবাজ রুহুল আমীন খান আমার বৃদ্ধ মাসহ ৫বোনের যেকাউকে সম্ভ্রমহানীসহ বড়ধরণের ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দিচ্ছে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছি।
প্রকৃত পক্ষে মামলার বাদি রুহুল আমিনের কাছ থেকে আমার বাবা কোন টাকা পয়সা নেননি। তার দৃশ্যত: এমন কোন উৎসও নেই যে, সে ৩লক্ষ টাকা কাউকে ধার দিতে পারে? যা এলাকাবাসীরা সাবাই জানেন। তথাকথিত সালিশ হালিম খানের যোগসাজসে আমার বাবাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এহেন অসৎতৎপড়তায় জড়িতদের বিচার চাই-অবিলম্বে উল্লেখিত অচলের নামে নেয়া সাদা ষ্ট্যাম্প উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাই।

এমআর

বাংলাদেশ সময়: ০:১৫:৪৩ ● ৩৫০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ