পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের কর্মচারীরর পরকীয়ার ঘটনায় তোলপাড়!

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের কর্মচারীরর পরকীয়ার ঘটনায় তোলপাড়!
মঙ্গলবার ● ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


প্রতীকী চিত্র
সাগরকন্যা চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
চরফ্যাশন উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের মাঠ সংগঠক মিলন চন্দ্র দাসের পরকিয়ার ঘটনায় চরফ্যাশন উপজেলা পাড়ায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। দশমিনা উপজেলার এক গৃহবধূ চরফ্যাশন উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের অফিসে এসে বিবাহের দাবীতে দু‘দিন অবস্থান করেছেন বলে জানা গেছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি ফয়সালার জন্য দশমিনা ইউপির চেয়ারম্যান লিটনকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে অফিস কর্মচারী অফিস ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়েছে। অফিস কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেছেন তিনি ২দিনের ছুটি নিয়েছেন। তবে স্থানীয় সংবাদকর্মীদেরকে ছুটির আবেদন দেখাতে পারেননি এই কর্মকর্তা ।

এক সন্তানের জননী গৃহবধূর রেকর্ড ও তথ্য সূত্রে জানাযায়, বোরহান উদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা গ্রামের তপন কুমার দাসের পুত্র মিলন চন্দ্র দাস দশমিনা উপজেলায় পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ ৩ বছর সেখানে থাকার সুবাদে মিলন চন্দ্র রায় মুসলিম ধর্ম গ্রহণের কথা বলে বিয়ের প্রলোভনে এক সন্তানের ওই জননীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে দৈহিক সম্পকের্ গড়ায়। এসময় মিলন তার কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। তিন বছর সম্পর্কে এ পর্যায়ে গত ১৭ ফেবুয়ারী দশমিনা থেকে বদলী হয়ে চরফ্যাশন অফিসে যোগদান করেন তিনি। খবর পেয়ে তার পরকীয়া প্রেমিকা চরফ্যাশন অফিস মিলনের কর্মস্থলে ছুটে আসেন এবং তাকে বিবাহের দাবী জানান। কিন্তু মিলন বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে বিষয়টি দশমিনা উপজেলা দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন অফিসসহ স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হয়। ১৮ ফেরুয়ারী চরফ্যাশন থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এস আই) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন। সরকারি কর্মচারী বিধায় মিলনকে আটকে বিধি নিষেদের কথা বলে মামলা হলে বিষয়টি দেখবেন জানিয়ে তারা চলে যান। ১৯ ফ্রেরুয়ারী মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে অফিসের অভিযুক্ত মিলনকে পাওয়া যায়নি। সে গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

চরফ্যাশন উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, সে দু‘দিনের ছুটি নিয়েছে তবে ছুটির আবেদন দেখাতে পারেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন জানান, বিষয়টি ফয়সালার জন্য দশমিনা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি ফয়সালা না করতে পারলে আমরা দেখব। এ বিষয়ে চরফ্যাশন দারিদ্র বিমোচন অফিসের মাঠ সংগঠক মিলন চন্দ্র দাসের মুঠো ফোনে পাওয়া যায়নি।

এএইচ/কেএস

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫১:৫৮ ● ৪৫২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ