কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন রয়েছে। বৃস্টির প্রভাবে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে শীতের প্রকোপ। এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে আছে বঙ্গোপসাগর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ০২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। গভীর সাগরে মাছধরা সকল ট্রলারকে ফিরে এসে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে হঠাৎ বৃস্টিসহ শীতের তীব্রতা বাড়ায় জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। এরফলে ভোগান্তিতে পড়েছে কর্মজীবিসহ নি¤œ আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। ক্ষতির শংকায় পড়েছে কৃষক। বৃস্টির তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে ক্ষতি হতে পারে ক্ষেতের পাকা আমন ধানের। রবিশষ্যসহ তরমুজের প্রস্তত ক্ষেত নস্ট হতে পারে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, ঘর্নিঝড়টি শনিবার সকাল ছয়টায় চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৩০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৮৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সুমদ্র বন্দর থেকে ৮৯৫ কিলোমিটার দক্ষিন-দক্ষিন পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল মন্নান বলেন, বৃস্টির তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে ক্ষেতের ধানসহ রবিশষের ব্যৗাপক ক্ষতি হতে পারে। সমুহ ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে হালকা থেকে মাঝারী বৃস্টিপাত এবং দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
জেআর/্এমআর
