আমতলীতে দু’পক্ষের সীমানার গাছ হজম করল তৃতীয় পক্ষ!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে দু’পক্ষের সীমানার গাছ হজম করল তৃতীয় পক্ষ!
সোমবার ● ৩০ আগস্ট ২০২১


আমতলীতে দু’পক্ষের সীমানার গাছ হজম করল তৃতীয় পক্ষ!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

আমতলী উপজেলা ভূমি অফিস এবং এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সীমানা সংলগ্ন একটি মুল্যবান রেইন্টি গাছ নিয়ে ধ্রমজালের সৃষ্টি হচ্ছে। গাছটি উপজেলা ভুমি অফিস কর্তৃপক্ষ এবং সীমানা সংলগ্ন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নয় বলে দাবী করছেন। দু’পক্ষই দাবী না করায় গাছটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়ে তাহলে গাছটি কার ? স্থানীয়রা অভিযোগ করেন ভুমি অফিসের পিয়ন মোঃ শানু মিয়া গাছটি কেটে নিয়ে গেছে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলা ভুমি অফিস এবং  এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সীমানা সংলগ্œ একটি বৃহৎ রেইন্টি গাছ গত ২৭ জুলাই বিরামহীন বর্ষণে হেলে পড়ে। ওই গাছটি ভুমি অফিসের পিয়ন মোঃ শানু মিয়া কেটে গোপনে পৌর শহরের মোঃ খলিলুর রহমান চুন্নু তালুকদারের স্ব-মিলে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। গাছটি স্ব-মিলে নেয়ার খবর জানাজানি হয়ে গেলে উপজেলা ভুমি অফিস কর্তৃপক্ষ এবং এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নয় বলে দাবী করেন।  দুই পক্ষই গাছটি তাদের দাবী না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ধ্রমজালের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে গাছটি কার? ওই গাছটি মুল্য অন্তত ৩০ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে ভুমি অফিসের পিয়ন শানু মিয়া শ্রমিক দিয়ে গাছটি কেটে নিয়ে গেছেন।
সোমবার চুন্নু মিয়ার স্ব-মিলে গিয়ে দেখাগেছে, ৮টি টুকরো করে গাছটি স্ব-মিলে ফেলে রাখা হয়েছে।
স্ব-মিল শ্রমিক মোঃ ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ভুমি অফিসের পিয়ন মোঃ শানু মিয়া গাছটি কেটে স্ব-মিলে পাঠিয়ে দিয়েছে। ওই মুল্যবান গাছটিতে অন্তত ৩০ সিএফটি চেরাই কাঠ হবে।
স্ব-মিল মালিক মোঃ খলিলুর রহমান চুন্নু তালুকদার বলেন, কাঠের গুড়ি ব্যবসায়ী মোঃ জামাল গাছটি সম্পর্কে জানেন। প্রকৃত গাছের মালিক কে আমার জানা নেই।
কাঠের গুড়ি ব্যবসায়ী জামাল বলেন, ওই গাছটি সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।
আমতলী উপজেলা ভুমি অফিসের পিয়ন মোঃ শানু মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
আমতলী এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম কবির বলেন, বিদ্যালয় সীমানা সংলগ্ন কেটে নেয়া গাছটি বিদ্যালয়ের জমিতে নয়। ওটি ভুমি অফিস কর্তৃপক্ষের। গাছটি কে কেটে নিয়ে গেছে তারাই জানেন? তিনি আরো বলেন, ওই গাছের পাশ দিয়ে বিদ্যালয়ের জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, ওই গাছটি ভুমি অফিসের জমিতে নয়। কে বা কাহারা গাছটি কেটে নিয়েছে আমার জানা নেই। তিনি আরো বলেন. গাছটি এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমিতে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ কায়সার হোসেন বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৬:৩৪ ● ২৬৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ