বছরের শুরুতেই কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায় ধস

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » বছরের শুরুতেই কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায় ধস
বুধবার ● ১ জানুয়ারী ২০২০


বছরের শুরুতেই কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায় ধস

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

ইংরেজি নববর্ষকে ঘিরে কুয়াকাটায় হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা শুরুতেই হোচট খেল। আশানুরুপ পর্যটক-দর্শনার্থীর আগমন ঘটেনি। এ কারণে সবক’টি হোটেল দুই তৃতীয়াংশ কক্ষ খালি রয়েছে। ২০২০, নতুন বছরকে ঘিরে কাঙ্খিত ব্যবসার মুখ দেখতে না পেয়ে ব্যবসায়ীরা হতাশা ব্যক্ত করেন। তবে ২০১৯ সালের শেষের দিকে পর্যটক-দর্শনার্থীর চাপ ছিল। ছিল উপচেপড়া ভিড়। পারিবারিকভাবে আসা পর্যটকের সংখ্যা ছিল উল্লেখ করার মতো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুয়াকাটার ফোর স্টার মানের হোটেল ‘ সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাজ’। যেখানে অন্তত ৩০০ পর্যটকের আবাসন সুবিধার জন্য এক শ’ কক্ষ রয়েছে। যার মাত্র ৩০টি কক্ষে নববর্ষের রাতে বুকিং ছিল। বাকি সব ছিল খালি। থার্টি ফার্স্ট নাইটের উদযাপনকে ঘিরে নিñিদ্র নিরাপত্তাকেও কেউ কেউ দায়ী করছেন। আবার ডিসেম্বরের শেষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বছরের প্রথম দিনে ভর্তি হওয়া। নতুন বই সংগ্রহ করার একটা আগ্রহ রয়েছে শিক্ষার্থীদের ; একারণেও অভিভাবকরা আগেভাগেই ঘোরাঘুরি শেষ করেছেন।

হোটেল বীচ হ্যাভেন এর ইনচার্জ শামীম রেজা রঞ্জু জানান, তার ৪১টি কক্ষের মাত্র চারটি বুকিং ছিল নববর্ষের রাতে। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের আওতাধীন ৫৭টি হোটেল রয়েছে। এছাড়া আরও অন্তত ৩০টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলের এক পঞ্চমাংশ সিটও বুকিং ছিল না নববর্ষের রাতে।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী জানান, পর্যটকের চেয়ে পুলিশ এবং ক্যামেরাম্যান ছিল বেশি। ইংরেজি নববর্ষের শুরুতেই হোটেল ব্যবসায় বড় ধরনের ধকলে মালিকরা হতাশা ব্যক্ত করেন। তবে এ সমস্যা কেটে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ। বহু আবাসিক এবং খাবার হোটেল মালিকের মন্তব্য ছিল,‘ এবার পর্যটকের আকাল ছিল নববর্ষে’। তবে পর্যটকদের মন্তব্য কুয়াকাটায় নববর্ষ ছাড়াও রাতের বেলা বিনোদনের কোন সুযোগ নেই। রাতের বেলা হোটেল বন্দী হয়ে থাকতে হয়। জিনিসপত্রের দামও অনেক বেশি। এটিও এখানে এবছর নববর্ষে পর্যটক না আসার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৮:১২ ● ৪৯৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ